অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

র‌্যাবের অভিযানের পরেও রক্তি-সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি থেমে নেই 

তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

র‌্যাব এর দুইবার অভিযানের পরেও থেমে নেই সুনামগঞ্জরে জামালগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর নৌকাঘাটে চাঁদাবাজি। জামালগঞ্জ থানা থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দুরে চাঁদাবাজির এই রুট নিয়ে বেশ ক'দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা চলছে। চাঁদাবাজদের খুঁটির জোর কোথায় সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

গত (৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীদের অনুরোধে চাঁদাবাজি বন্ধে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী  জামালগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের দুর্লভপুরে বালু-পাথরের ব্যবসাকে কন্দ্রে করে রক্তি নদী ও সুরমা নদীতে চলন্ত নৌকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়। সম্প্রতি র‌্যাব -৯ দুইবার অভিযান চালিয়ে কয়েক জনকে গ্রেফতার করলেও এখনো থেমে নেই চাঁদাবাজি। দুর্লভপুর বালি-পাথর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুটি ইজারা বিদ্যমান রয়েছে।

একটি উপজেলা পরিষদ থেকে দুর্লভপুর নৌকাঘাট। যা উপজেলা পরিষদ ইতি মধ্যে ইজারা বন্দোবস্ত হয়েছে। অপরটি বিআইডব্লিউটি আশুগঞ্জ থেকে ইজারা দেয়া হয়। উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৩ কিলো মিটার দুরে এই ব্যবসা কেন্দ্রর অবস্থান। র‌্যাবের অভিযানের পরেও পুরোদমে চাঁদাবাজি চলমান রয়েছে। উপজেলা সদরের অতি নিকটে এই বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধে করনীয় বিষয়ে আরো আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত পুলিশের একটি টহল টিম থাকে। পুলিশ একপ্রান্তে থাকলে তারা অন্যপ্রান্তে চাঁদাবাজি করে। উপজেলা পরিষদের লিজ প্রক্রিয়ার শর্তে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- লিজ গ্রহিতা প্রাপ্তির পর দৃশ্যমান জায়গায় টোল আদায়ের হার সম্বলিত সাইন বোর্ড স্থাপন করিবেন। এর ব্যর্খ হলে লিজ প্রক্রিয়া বিনা ক্ষতি পূরণে বাতিল হবে। লিজ প্রাপ্তির ৬ (ছয়) মাস পরও কোন সাইন বোর্ড দেখা যায়নি।

নদীতে চলন্ত নৌকা হতে প্রতি নৌকায় ১৫ শত হতে ২ হাজার টাকা করে প্রতিদিন দেড় লাখ টাকা হতে দুই লাখ টাকা চাদা আদায় করছে। উপরোক্ত অনৈতিক চাদাবাজী বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভুক্তভোগীরে পক্ষে জোর সুপারিশ জানান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী বলেন, পুলিশ-র‌্যাব, অভিযান চালিয়েও চাঁদাবাবি বন্ধ করা যাচ্ছেনা এছাড়া বিভিন্ন প্রত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার চাঁদাবাজির খবর প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ হচ্ছে না। কিছুদনি পূর্বে চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য এলকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। কোন অদৃষ্টের ছায়ায় প্রতিনিয়তি এসব চলছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, দুর্লভপুরের রক্তি ও সুরমা নদীতে চাদাবাজীর অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে, চাঁদাবাজদের, আইনের আওতায় আনা হবে।