অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সংসদ সদস্য হয়েও দুর্নীতি করায় বাবরের এই শাস্তি যুক্তিযুক্ত: আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর জাতীয় সংসদের একজন প্রাক্তন আইন প্রণেতা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েও সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে সম্পদ অর্জন করায় তাকে শাস্তি দেওয়াকে যৌক্তিক মনে করা হচ্ছে। 

রায়ে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের  ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ৩ এবং ৫ বছর মোট ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেরও আদেশ এসেছে রায়ে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারানুসারে লিখিত বক্তব্য ও যুক্তিতর্ক শুনানিতে আসামি পক্ষ দাবি করেছেন যে, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বহুল আলোচিত ও কথিত মাইনাস-২ ফর্মুলা বাস্তবায়নে আসামিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা কাগজপত্র তৈরি করে বানোয়াট মামলা দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় বাবরের ৮ বছরের কারাদণ্ড

পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এই মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় বিধিবদ্ধ আইনানুযায়ী (দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪) আসামি প্রাক্তন স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে বর্তমান মামলাটি আনা হয়েছে। উন্মুক্ত বিচার পদ্ধতি অনুযায়ী বিচার হয়েছে এবং আসামি উপস্থিত থেকে তার নিয়োজিত কৌশুলীর মাধ্যমে জেরা করার সুযোগ পেয়েছেন। 

আসামির বিরুদ্ধে দুদক/প্রসিকিউশন পক্ষ দুইটি অভিযোগ আনে। তার মধ্যে দুদক আসামির নালিশি বাড়ি নির্মাণে ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকার তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয় এবং প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখার হিসাবে জমাকৃত ১০ লাখ ইউএস ডলার বা ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকার তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জনের দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়।