অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সিনহা হত্যা মামলায় পঞ্চম দফার শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১ মঙ্গলবার  

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পঞ্চম দফার শেষ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টায় শেষ দিনে ৩২ তম সাক্ষী লে. কর্নেল মো. ইমরান হাসানকে দিয়ে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সিনহা হত্যা মামলায় পঞ্চম দফায় ৩২ নম্বর সাক্ষী লে. কর্নেল মো. ইমরান হাসানের মধ্যদিয়ে আজকের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

অন্য সাক্ষীরা হলেন এএসআই নজরুল, এসআই মো. সোহেল সিকদার, সৈনিক হিরা মিয়া, মো. শহীদ উদ্দীন, মো. নবী হোসেন, মো. আবুল কালাম, এলএস আবু সালাম, কনেস্টবল শুভ পাল।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।