অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আজ থেকে ৩০ টাকায় টিসিবি’র পেঁয়াজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার   আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ১১ অক্টোবর ২০২১ সোমবার

হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। আর পেঁয়াজের দামের এই উর্ধ্বগতি ঠেকাতে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির পরিমাণ বাড়াবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। জানা গেছে, খোলা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা হলেও টিসিবি তা ৩০ টাকায় বিক্রি করবে।

**পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে ১৫ থেকে ২০ দিন পর

টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আজ সোমবার থেকে বিক্রি শুরু হবে।

রবিবার টিসিবি’র তরফেেএ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, টিসিবি আগে থেকেই খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। তবে সদ্য আমদানি করা তুরস্কের পেঁয়াজের চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।  সোমবার থেকে তাই ট্রাকসেলে পেঁয়াজের বরাদ্দ বাড়ানো হবে। গাড়ি প্রতি ৭০০ কেজি করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।

এছাড়া তুরস্কের পেঁয়াজের পাশাপাশি সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রির চলমান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে টিসিবি। করোনাকালীন সময় ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখতে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি কার্যক্রম গত বুধবার থেকে চলমান রেখেছে টিসিবি। এ কার্যক্রম আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। সপ্তাহে শুধুমাত্র শুক্রবার ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি বন্ধ থাকবে। 

টিসিবি বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করছে ৫৫ টাকায়। সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটার। এক্ষেত্রে প্রতি ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, মসুর ডাল ও তেল এবং পেঁয়াজ কিনতে পারছেন চার কেজি করে।

দেশের বাজারে গত কয়েক দিন ধরে লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে নিত্যপণ্যটির দাম। ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। 

পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা বলছেন, এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আবার পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার হাটে এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা বাজারে প্রভাব ফেলছে।