অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে অনুকরণীয় মডেল: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৫:৩১ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম আর দূরদর্শী পরিকল্পনা এবং নতুন নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আজ সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ।

শনিবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ’ফ্রেন্ডশিপ’-এর  জেষ্ঠ্য পরিচালক কাজী এমদাদুল হক । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাসিম ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে । বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা হতে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত । তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮ টি উপজেলায় ৫৫০ টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান । উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের  ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে । এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে ।

তিনি আরো বলেন,বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে বন্যা পীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ২০১৮-২০২২ মেয়াদে ৪২৩ টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে ।

এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা-সহ বিভিন্ন দুর্যোগ কবলিত জেলার ২০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ২০জন এনজিও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় আরও বেশিসংখ্যক ঘুর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান, লবণাক্ত এলাকায় সুপেয় পানির উৎস তৈরি ও সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা ও নদীভাঙ্গন রোধে বৃক্ষায়ন-সহ বিভিন্ন কর্মসূচীর সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরেন বক্তাগণ ।