অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পরিবারে কারও লক্ষণ থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চার দফা নির্দেশনা

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চার দফা নির্দেশনা

কোনো শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা করোনার সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে ওই শ্রেণির শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থীর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণ রোধে নতুন করে শিক্ষকদের জন্য চার দফা নির্দেশনা জারি করেছে মাউশি। এগুলোসহ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে সব সরকারি–বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাউশির আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর জন্য একটি গাইডলাইন ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া মনিটরিং চেক লিস্টের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হচ্ছে।

এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

সেগুলো হলো—

১. শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন শিক্ষকেরা।

২. শিক্ষার্থীর পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত বা করোনার কোনো লক্ষণ (জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি) আছে কি না, তার খোঁজ নেবেন শিক্ষকেরা।

৩. কোনো শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কেউ করোনা বা করোনার লক্ষণ থাকলে দ্রুত সেই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন শিক্ষকেরা।

৪. প্রতিষ্ঠানপ্রধান ওই শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা নেবেন।

শিক্ষা অধিদপ্তরের সব পরিচালক, উপপরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানানো, বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান এবং সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে মাউশির পক্ষ থেকে।