অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মৃত্যুর পরেও ‘বাঁচতে’ চান কবির সুমন

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার  

মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন গায়ক কবীর সুমন। গণদর্পণ নামে এক সংস্থাকে তিনি দেহদানের অঙ্গীকার করেছেন। তার এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেট দুনিয়া।

নিজের ফেসবুক পেজেই মহান এই উদ্যোগ প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন কবীর সুমন। কমেন্ট বক্সে তার সুস্থ জীবন কামনা করে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

কবির সুমন গত জুলাইয়ে বাড়ি ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। শারীরিক পরিস্থিতিও আগের তুলনায় এখন অনেকটাই উন্নত। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কথা সেই সময় ঘোষণা করেছিলেন শিল্পী। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে।

প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী ফেসবুকে লিখেছিলেন, “সরকারি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার, তাদের চিকিৎসকবৃন্দ, সেবক-সেবিকাবৃন্দ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সকলের প্রার্থনা শুভেচ্ছার জন্য কৃতজ্ঞ। সকলের মঙ্গল হোক।”

প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কবীর সুমন। অনুরাগীরাও তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন। দ্রুত আরোগ্য কামনায় রত হয়েছিলেন তাঁরা। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে দিন কয়েকের মধ্যেই সেরে ওঠেন শিল্পী। সেই সময়ে হাসপাতালের বেডে বসেই একটি ফেসবুক লাইভে এসে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি পূর্বতন বামফ্রন্টকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি কবীর সুমন।

শিল্পী-গীতিকারের মুখে শোনা গিয়েছিল মমতা সরকারের প্রশংসা। “৩৪ বছরের বামফ্রন্ট রাজত্বে মানুষ সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পেত। আর এখন নিজেরা যেচে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। বাংলার হাসপাতালগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাসপাতালের তুলনায় যেখানে এগিয়ে, তা হল মানবিক স্পর্শ। বাইরের দেশে আন্তরিকভাবে রোগীদের শুশ্রুষা করা হলেও তার মধ্যে একটা পেশার আস্তরণ রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে একটা আত্মীয়তাবোধ রয়েছে। যা আনতে পেরেছে বর্তমান সরকার”, হাসপাতালের বেডে বসেই অশক্ত শরীরে বলেছিলেন কবীর সুমন।