অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টে যাত্রী টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার  

বাংলাদেশের সাথে ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সীমান্ত স্থাপনাসমূহের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টে একটি নতুন যাত্রী টার্মিনাল ভবন (১) উদ্বোধন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কর্মকর্তারা যৌথভাবে ভবনটি উদ্বোধন করেন। ভারতের পক্ষে ছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায় এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ছিলেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। এছাড়াও ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি আদিত্য মিশ্র এবং অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর  কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
 
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর আইসিপি পেট্রাপোল বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এটি ভারতের নবম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর, যা বছরে প্রায় ২৩ লাখ যাত্রীকে সেবা প্রদান করে। এক হাজার তিনশ পাঁচ বর্গমিটারের নতুন এই টার্মিনাল ভবনটিতে যে কোনও সময়ে ৫৫০ জন যাত্রীকে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ভবনটি যাত্রীদের চলাচল ঝামেলামুক্ত ও সহজতর করবে এবং একই ছাদের নিচে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, কাস্টম এবং সুরক্ষা সুবিধা দেবে। ভবনে ৩২টি  ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪টি কাস্টমস কাউন্টার এবং ৮টি সুরক্ষা সেবা কাউন্টারের পাশাপাশি অন্যান্য অংশীদারদের জন্য পর্যাপ্ত কার্যালয় রয়েছে। 

ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পেট্রাপোলে আরও একটি অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল ভবন (২) নির্মাণ করছে যাতে অর্ধ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং ২০২২ সালের মধ্যে এটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি সাধারণ দ্বিতীয় কার্গো গেইটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে শক্তিশালী সীমান্ত সংস্থা সমন্বয়ের একটি উদাহরণ হিসেবে এই পদক্ষেপটি উন্নত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সীমান্তে পণ্যছাড়করণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও সংযোগ আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।