অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি: ফেরদৌসী কাদরী

স্পটলাইট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার  

কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা এবং সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন ফেরদৌসী কাদরী

কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা এবং সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন ফেরদৌসী কাদরী

দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী। সেইসঙে তিনি এও বলেছেন ডেলটার মতো করোনার অতিসংক্রামক ধরনের ভাইরাস যে আর আসবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সংলাপে এ কথা বলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ইমেরিটাস বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী। র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন এই প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর সঙ্গে গণমাধ্যম সংলাপের আয়োজন করে।

ফেরদৌসী কাদরী বলেন, এখন বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কমছে বটে, কিন্তু এতে খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের অনেক দেশে সংক্রমণ এভাবে কমে আবার বেড়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। 

ফেরদৌসী কাদরী বলেন,দেশের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের দেহে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে করোনার নতুন কোনো ধরনে সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। তাই করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সবচেয়ে বেশি দরকার ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া।

তিনি জানান, বাংলাদেশের মানুষের স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা করোনা যুদ্ধে বাংলাদেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম ঢেউ শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের মার্চ থেকে আবার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। জুলাই মাসে দ্বিতীয় ঢেউ তার চূড়া স্পর্শ করে। আগস্ট থেকে আবার ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে মৃত্যু ও শনাক্তের হার।

গত ৩১ আগস্ট ‘এশিয়ার নোবেল’ হিসেবে পরিচিত ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ফেরদৌসী কাদরীসহ এ পর্যন্ত ১২ ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যাকমন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। র‌্যামন ম্যাগসাইসাই ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৫৮ সাল থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রতিবছর ৩১ আগস্ট এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ৩১ আগস্ট র্যালমন ম্যাগসাইসাইয়ের জন্মদিন।

কলেরার টিকা নিয়ে গবেষণা এবং সাশ্রয়ী দামে সহজলভ্য করে লাখো প্রাণ রক্ষায় কাজ করেছেন ফেরদৌসী কাদরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাবিষয়ক বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি।