অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

২০ বছরে সামান্যই এগিয়েছে টুইন টাওয়ার হামলার কুশীলবদের বিচার

পৃথিবীজুড়ে ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:১৯ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৯:২২ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার

গুয়ান্তামো বে’র আদালত কক্ষ, ছবি: সিএনএন

গুয়ান্তামো বে’র আদালত কক্ষ, ছবি: সিএনএন

নাইন-ইলেভেন বা সেপ্টেম্বর ১১'য় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইনটাওয়ার হামলার ২০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে এই হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনায় অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয় বছর ধরে চলে আসা বিচারিক প্রক্রিয়ার আংশিক শুনানি হয়ে গেলো কিউবার গুয়ান্তানামো বে'র আদালত কক্ষে। 

কোভিড-১৯ এর কারণে দেড় বছরাধিককাল পরে চলতি সপ্তাহেই প্রথম শারীরিক উপস্থিততে শুরু হয়েছে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। এ অবস্থায় শুক্রবার শুনানিতে আইনজীবীরা বেশ কিছু বিষয়ে বিতর্ক করেন যার মধ্যে ছিলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা কোন ধরনের দালিলিক প্রমাণ হস্তগত করতে পারবে তা নিয়ে। বিশেষ করে অভিযুক্তরা যখন ২০০০ দশকের গোড়ার দিকে সিআইএ'র হেফাজতে একটি গোপণ স্থানে অবস্থান করছিলেন সেই সময়ের নথিপত্র নিয়েই কথা হচ্ছিলো তাদের মধ্যে।  

এই পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন খালিদ শেখ মোহাম্মদ- যাকে এই ভয়াবহ হামলার মূল কুশীলব বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে তিনি গুয়ান্তানামো বে'র কারাগারে রয়েছেন। 

২০১২ সালে ওবামা প্রশাসনের সময়কালে এই অভিযুক্তদের ব্যাপারে যখন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় তখন থেকেই মামলাটি দীর্ঘসূত্রীতায় পড়ে যায়। বেশ কিছু অমিমাংশিত বিষয় নিয়ে পক্ষের ও বিপক্ষের আইনজীবীরা স্রেফ জেরা-পাল্টা জেরার নামে টানা-হেচড়ার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেন প্রায় এক দশক সময়।  

এই বিচারে এ পর্যন্ত চার জন বিচারকের পরিবর্তন হয়েছে। সবশেষ দায়িত্বে রয়েছেন বিচারক কর্নেল ম্য়াথিউ ম্যাককল। তিনি বিমানবাহিনীর একজন বিচারক। 

এই ম্যাককল মামলাটির বিচারক হতে পারেন কি না- সেটাও শুক্রবারের শুনানির অংশ ছিলো। পক্ষ-বিপক্ষের আইনজীবীদের উভয় দলই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে যখন তার নিয়োগ হয় সরকারি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তখনই প্রশ্ন তোলা হয়েছিলো একটি সামরিক কমিশনড মামলায় তার বিচার করার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই, এমনটা দাবি তুলে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এই মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে এই বিচারকের পর্যাপ্ত ধারনা রয়েছে কি না সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

মামলার শুনানির এই দীর্ঘসূত্রীতার পরেও ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্তদের পাঁচজনই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।