অন্য কারও সঙ্গে তুলনা, প্রভাব ফেলে সন্তানের মনে

সন্তান বড় করা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। শিশুকাল সংবেদনশীল হওয়ায় তাদের যেভাবে বড় করা হয় সেভবেই বেড়ে ওঠে। যা দেখে তা থেকেই শেখে। তাই সন্তানের বেড়ে ওঠার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।  
  
কোন কিছু চাপিয়ে না দেয়া

অনেকেই নিজেদের না পূরণ করতে পাওয়া স্বপ্ন তাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেন। এটি অনেক শিশুদের উপরই প্রভাব ফেলে। এই কারণে সন্তান ও বাবা-মায়েদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে।  
  
সন্তানের পছন্দকে গুরুত্ব দিন

সন্তানের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। ছেলে-মেয়েদের উপর বাবা মায়েরা অনেক সময় মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন, যা তাদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। তাদের যে পছন্দ থাকতে পারে সেটাতে গুরুত্ব দিতে হবে। সে পছন্দে কোন সমস্যা থাকলেও সেটাও খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতে হবে।   

সবার চাওয়া-পাওয়া আলাদা

প্রতিটি মানুষের চাহিদা আলাদা, তার চাওয়া পাওয়াও আলাদা। কোন কাজটা করতে আপনার সন্তান সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ক্ষতিকর এবং সামর্থের বাইরে না হলে তার চাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করুন। 
  
প্রতিবেশীর সন্তানের সঙ্গে তুলনা নয়

পাশের বাড়ির ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে কোনওভাবেই নিজের সন্তানের তুলনা করবেন না। এর ফলে আপনার সন্তানের মনে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি হতে পারে যা আপনার ও সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে। 
  
ভাল ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করবেন না

বাবা-মায়েরা মনে করেন, ভাল ছেলে মেয়েদের সঙ্গে তুলনা করলে তখন তাদের সন্তানের মধ্যেও ভালো কিছু করার তাগিদ তৈরি হবে। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বরং এ থেকে তাদের মন আরও ছোট হয়ে যায়। 

প্রত্যেক শিশুই তাদের নিজস্ব দক্ষতা, আগ্রহ ও পরিবেশের মাধ্যমে নতুন জিনিস করতে সক্ষম। প্রত্যেক শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা এবং বড় হওয়ার পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য থাকে তাই বৃথা অন্যের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়।