অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দিনভর ভোগান্তির পর লঞ্চ খুলে দিল সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:১৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার  

শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত  বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করতে পারবে

শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করতে পারবে

দিনভর শ্রমিকদের ঢাকামুখী স্রোত ও ভোগান্তির পর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঘোষণা দিয়েছে, শনিবার (৩১ জুলাই) রাত থেকে রবিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করতে পারবে।

বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়।

রবিবার থেকে পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় শনিবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে শ্রমিকরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। মহামারি নিয়ন্ত্রণের লকডাউনের মধ্যে কারখানা খুলে দেয়ায় কর্মস্থলে ফিরতে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে পোশাককর্মীদের।

কিন্তু ব্যবসায়ীদের বারবার অনুরোধে শুক্রবার সরকার জানায়, রপ্তানিমুখী কারখানা রবিবার থেকে লকডাউনের আওতামুক্ত। অর্থাৎ রবিবার থেকে পোশাক কারখানা খোলা।

এই সিদ্ধান্ত জানার পর শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে পোশাককর্মীরা ঢাকায় রওনা হন, যদিও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কোনো বাস নেই সড়কে।

পদ্মাপাড়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তিন চাকার বিভিন্ন গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে অনেককে রাজধানীর সদরঘাটে আসতে দেখা যায়। সেখান থেকে ফেরিতে উঠছিলেন তারা।

ঢাকায় ফেরা শ্রমিকদের দুর্ভোগের চিত্র ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, শুধু ঢাকার আশপাশের শ্রমিক দিয়েই কারখানা চালাতে পারবেন মালিকরা। সমালোচনার মুখে এদিন সন্ধ্যায় পোশাকশিল্পের মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ জানায়, লকডাউন পুরোপুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত গ্রামে থাকা শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না।