অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

লক্ষীপুরের লঞ্চ-ফেরিঘাটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভিড়

নিজাম উদ্দিন, লক্ষীপুর

প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার  

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে লক্ষীপুরের মজুচৌধুরী ফেরিঘাট ও লঞ্চ ঘাটে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী যাত্রীদের ভীড় বেড়েছে। 

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই ভোলা-বরিশাল ঘাট থেকে লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। ফেরি পারাপারের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার কোন উপায় ছিলো না যাত্রীদের।

এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পশ্চিমাঞ্চলেন বিভিন্ন জেলার মানুষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে লঞ্চ, ফেরি, নৌকায় করে এসব ঘাটে এসে জড় হচ্ছেন যাত্রীরা। পরে এসব এসব অঞ্চল থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, অটোরিকশায় করে ঢাকা-চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করছেন তারা। এক দিকে যাত্রীদের ভোগান্তি, অন্যদিকে কোন কোন যাত্রীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানার মূখে পড়তে হয়েছে। 

ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী যাত্রীরা জানিয়েছেন, রবিবার থেকে তাদের কারখানা খুলছে। এ জন্য ভোগান্তি সত্তেও কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। দূরপাপ্লার বাস বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। একইসঙ্গে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। 

অন্যদিকে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার জকসিন বাজারে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্রগ্রামমূখী কর্মজীবিরা মাইক্রোবাস, সিএনজি এবং ব্যাটারী চালিত আটোরিক্সার সাহায্যে চলাচল করছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী যান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মূখে পড়লে তাদেরকে জরিমানা গুণতে হয়েছে। ফলে একদিকে জরিমানা অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে হিমশিম খেতে হয়েছে গাড়িতে থাকা ওইসব যাত্রীদের।