অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দু’একদিনের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার

ল–পরশু থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে

ল–পরশু থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে

জাপানের কাছ থেকে টিকা প্রাপ্তির ফলে দ্বিতীয় ডোজের সমস্যা কাটছে। কাল–পরশু থেকেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (৩১ জুলাই) বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে একথা জানান মন্ত্রী।  

**অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও সাত লাখ ৮১ হাজার টিকা ঢাকায়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজকে ৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ পেয়েছি। কিছুদিন আগে ২ লাখের বেশি পেয়েছি। সবমিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পেয়েছি জাপান সরকারের কাছ থেকে। আগস্ট মাসে আরও ৬ লাখের বেশি টিকা আসবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখের বেশি টিকা আমরা পাবো। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘এই টিকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, আমাদের দেশে ১৫-১৬ লাখ লোক অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। আমি মনে করি সেই অপেক্ষা দুর হলো।’

টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে দেওয়া জাপানের উপহারের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দ্বিতীয় চালান ঢাকায় এসেছে। 
এবারে সাত লাখ ৮১ হাজার ডোজ টিকা বহনকারী হংকং এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শনিবার বেলা ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

এ নিয়ে দুই দফায় বাংলাদেশে ১০ লাখ অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠালো জাপান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে জাপানের ৩০ লাখ টিকা দেওয়ার কথা। আগামী ৩ আগস্ট জাপান থেকে ছয় লাখ অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার আরেকটি চালান ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

এর আগে ২৪ জুলাই প্রথম দফায় অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকা ঢাকায় পৌঁছায়।

বাংলাদেশে শুরুতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত না করেই ৫৮ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে ওই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ২১৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনো ১৫ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। আশা করা হচ্ছে জাপানের উপহারের টিকায় এই অনিশ্চয়তা কাটলো।

সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর সেরাম আর টিকা দিতে পারেনি ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায়। এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে মোট ৩৩ লাখ টিকা।