অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কর্মস্থলে ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা, সঙ্গী ভোগান্তি ও বাড়তি খরচ

শরিফুজ্জামান, সাভার

প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার  

উত্তরবঙ্গ থেকে কর্মস্থল জামগড়া এসেছেন পোশাক শ্রমিক জহির মিয়া। শুক্রবার (৩০ জুলাই) কুড়িগ্রাম থেকে ট্রাক, পিকআপ, ভ্যানে করে আশুলিয়ার জামগড়া পর্যন্ত পৌছতে সময় লেগেছে ১৩ঘন্টারও বেশি। এতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকার বেশি। 

জহির মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রাবার সকালে কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে খুদে বার্তা পাঠানো হয় তাকে। সে প্রেক্ষিতে বিকেলে আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়া হন। কিন্তু বিধি নিষেধের কারনে বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয় ।হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে পরিবার রেখে চলে আসতে হচ্ছে তাকে।

শুধু জহির নয় কুড়িগ্রাম থেকে আসা রেয়াদ ভূইয়ার বক্তব্য ছিল একই, হঠাৎ কারখানা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত ভোগান্তিতে ফেলেছে তাদের। যদি দুদিনের জন্য বাস চালু করা হতো তাহেল অনেকটা স্বাচ্ছন্দে ফিরে আসতে পারতেন তারা। বাড়তি খরচও করতে হতো না।   

করোনা সংক্রমণ রোধে চলছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি নিষেধ, বন্ধ যাত্রীবাহি বাস। এদিকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ছুঁটে গেছেন  লাখ লাখ শ্রমিক। তবে কারখানা মালিকদের অনুরোধে রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধি নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তাই বাড়তি ব্যয় করে হলেও ফিরছেন শ্রমিকরা। 

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে সাভার, বাইপাইল, নবীনগর সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীবাহি বাস বন্ধ থাকায় পায়ে হেটে বা রিক্সা ভ্যানে করে ফিরছে শ্রমিকরা। এতে যেমন বেড়েছে ভোগান্তি সেই সাথে যুক্ত হয়েছে বাড়তি খরচ। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মানুষের জন প্রতি বাড়া লেগেছে ১৫০০-২৫০০টাকা। সেই সাথে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।

ফাউনন্টেন গার্মেন্টেস লি. এর ম্যানেজার ( এডমিন) জানান,  , ঈদের পর থেকে কারখানা খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শ্রমিকদের আসা যাওয়ায় একটু কষ্ট হলেও দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনয়া সরকারি এমন সিদ্ধান্ত পজেটিভ ভাবে নেওয়া দরকার।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের কর্মস্থলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চেতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের আনা নেওয়ার জন্য এতোমধ্যে অতিরিক্ত বাস ঠিক করা হয়েছে।