জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
দূরের নয়, আশেপাশের শ্রমিক দিয়ে কারখানা চলবে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১ শনিবার
আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরুর শর্তে রবিবার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়া হয়েছে
বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ শেষ করতে কলকারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরুর শর্তে রবিবার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়া শ্রমিকদের চাকরি হারানো বা ছাঁটাই হওয়ার কোনো ভয় নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শ্রমিকদের আতঙ্কিত হয়ে ঢাকামুখী না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের পর পর্যায়ক্রমে তাদের কাজে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে।
শনিবার (৩১ জুলাই) কয়েকটি গণমাধ্যমকে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের রপ্তানিমুখী যে শিল্প কলকারখানাগুলো আছে, সেগুলো আগামীকাল থেকে খুলে দেয়া এবং যেসব শ্রমিক শুধুমাত্র ঢাকাতে আছে, ঢাকায় আছে বলতে কারখানার আশেপাশে যারা আছে, ঈদের পরদিন যারা ফিরে এসেছে, বা ঈদে যায়নি বাড়ি তাদেরকে নিয়েই তারা কাজগুলো করবে ৫ তারিখ পর্যন্ত।’
কল-কারখানা খোলার ঘোষণার পর থেকে ফেরিঘাটগুলোতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। ভিড় করা মানুষের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। আবার শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেয়া প্রজ্ঞাপনেও ঢাকার মধ্যে থাকা বা কল-কারখানার আশেপাশের শ্রমিকদের নিয়ে কাজ শুরু করার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ ছিল না।
বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ-এর সঙ্গে যখন আমাদের মিটিং হয়েছে, তখনও তারা কথা দিয়েছে যে, যারা ঢাকায় আছে শুধু তাদেরকে দিয়ে তারা কর্মকাণ্ড শুরু করবে। কেউ চাকরি হারাবে না। ৫ তারিখের পর পর্যায়ক্রমে তারা তাদেরকে নিয়ে আসবে। সেটাও একবারে না, পর্যায়ক্রমে। কারও কোনো ছাঁটাই বা এ ধরনের কোনো আশংকা নেই।’
আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খুলতেও ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান তিনি।
৫ আগস্টের পর শ্রমিকদের ধাপে ধাপে আনার মানে গণ পরিবহন খুলে দেয়া। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সেটি কীভাবে হবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই। তাদেরকে বলা হয়েছে, ৫ তারিখ পর্যন্ত যাতে দূর থেকে কেউ না আসে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।’