অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চুয়াডাঙ্গায় করোনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ 

চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ০৪:৫৭ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২১ শুক্রবার  

গত দেড় বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে  করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে আসা মানুষের কাছ থেকে খেয়াল খুশি মতো যে অতিরিক্ত টাকা আদায় নেয়া হতো অবশেষে বন্ধ হয়েছে। ২৯ জুলাই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনার নমুনা দিতে আসা মানুষের  কাছে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।

এর  আগে সরকারি নিয়ম তোয়াক্কা না করে নেয়া হতো অতিরিক্ত টাকা।  বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) থেকে রোগীপ্রতি ১শ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

 এ সময় নমুনা দিতে আসা মানুষেরা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে, এখনও দেয়া হয়নি নমুনা সংগ্রহের সরকারী ফি’র আদায়কৃত টাকার রশিদ। ১ আগষ্ট থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহের আদায়কৃত টাকার রশিদ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সেবা কেন্দ্রে নমুনা নিলে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী নেয়ার কথা ১শ’ টাকা এবং বাড়িতে যেয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে আলাদা ফি দিতে হয়। অথচ নমুনা দিতে আসা মানুষের কাছ থেকে  ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ করেন অনেকে।

বুধবার (২৮ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিভিন্ন সীদ্ধান্তসহ ৫ সদস্য’র কমিটি গঠন হয়। হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন’র সভাপতিত্বে জরুরী সভায় অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি উঠে আসে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন সভার এক পর্যায়ে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার নমুনা দিতে যারা এসেছেন তাদের কাছ থেকে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। কেন্দ্রে এসে নমুনা দিতে হলে ১শ’ টাকা নেয়ার সরকারি নিয়ম থাকলেও যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের প্রায় সকলের কাছেই ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কিংবা তারও বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। 

তাছাড়া চলতি মাসে নমুনা দিতে আসা দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া যাবে না এমন নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। সকলের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসময় সভা থেকে প্রস্তাব ওঠে, নমুনার টাকার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হওয়া দরকার। পরে সর্বসম্মতিক্রমে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিককে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।