এই শহরে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২১ বুধবার আপডেট: ০২:৫৭ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২১ বুধবার
কোভিড-১৯ মহামারির গত দেড় বছরে এখনই সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থা চলছে দেশে। ভাইরাসটির ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে গত এপ্রিল থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছিল। মে মাসে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও জুলাই মাসে এসে প্রতিদিনই আগের সব রেকর্ড ভাঙছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন চলছে প্রায় এক মাস ধরে। কিন্তু এর সুফল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সংক্রমণের হার কমার কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাও দেখা মেলেনি রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের মাছ ও কাঁচাবাজারে।
শারীরিক দূরত্বতো দূরের কথা, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।
বাজারটির এমন চিত্র দেখে মনেই হবে না দেশে করোনা নামে কোনও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে, আর সেকারণে কঠোর বিধিনিষেধও আরোপ হয়েছে!
সরকারের পক্ষ থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ বলা হলেও সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা আশানুরূপ বাড়েনি। ভারতীয় ধরন বিস্তারের মধ্যে ঈদের সময় লকডাউন শিথিল রাখার সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বাড়িয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে এটিকেই লকডাউনের সুফল না পাওয়ার কারণ মনে করছেন। তবে নতুন করে দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।