অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার  

বৈশ্বিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম কম। তাই আগামী দুই বছর ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো পোশাক আমদানি বাড়াবে বলে জানানো হয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসএফআইএ) গবেষণায়। 

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের গড় মূল্য যেখানে ২.৬ ইউএস ডলার সেখানে বাংলাদেশের মূল্য ২.৫ ডলার। 

প্রতিবছরের মতো এবারও ‘ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি‘ নামের গবেষণা করে ইউএসএফআইএ। সেখানে দেখা গেছে, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ার চেয়ে কম দামে পোশাক বিক্রি করে বাংলাদেশ। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ঢাকা। 

গবেষণায় অংশ নেয়া ৪৮ শতাংশ ক্রেতা ও ব্র্যান্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বাড়াতে চায়। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনও প্রায় সমমূল্য দিলেও যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেতারা তাদের অর্ডার বিভিন্ন জায়গায় দিতে চান। ঝুঁকি কমাতে তারা শুধুমাত্র চীন বা ভিয়েতনামকে না দিয়ে অন্যান্য দেশেও অর্ডার দিচ্ছেন। 

আরও বলা হয়েছে, পোশাকের দামের চেয়েও চীনের করের হার চাপ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের উপর। বিশেষ করে এই করোনাকালীন সময়ে। ২০১৭ সালে যেখানে পোশাক আমদানিতে চীনকে কর দিতে হতো ১৬.৫ শতাংশ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৩.৪ শতাংশ। 

এছাড়া ভিয়েতনাম এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মূল বাজার হলেও দেশটির ভবিষ্যত অর্থনীতি নিয়ে চিন্তায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা ভিয়েতনামের মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একটি অনুসন্ধানের পর এখন সেখানের ব্যবসা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

গবেষণায় অংশ নেয়া ক্রেতারা জানান, এশিয়ার অন্যান্য বিক্রেতাদের চেয়ে বাংলাদেম কম মূল্য দিলেও এখানে রফতানি পণ্যে বৈচিত্র কম। তাই এ দিকে মনযোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন ক্রেতারা। 

তবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকির কথাও বলেছেন তারা। কেননা এখানে পোশাক শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য আগুন ও ভবন নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করা হয় না।