অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২১ সোমবার  

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে করোনার কারণে ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুনরায় তারিখ নির্ধারণের আবেদন করা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৬ জুলাই) আবেদনটির শুনানি করেন।

আবেদনটি শুনানির জন্য রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির আদালতে আবেদন জানান। পরে আদালত শুনানির জন্য গ্রহণ করে।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ২৮ জুলাই ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করতে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ও ওই এলাকার সাত ভোটার।

আইনি নোটিশে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে চলমান লকডাউনেও নির্বাচন স্থগিত রাখা সম্ভব নয়। অথচ সংবিধানের ১২৩ এর ৪ দফার শর্ত অনুযায়ী সিলেট উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সুতরাং ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন স্থগিত করা যাবে না বলে সিইসি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উচিত চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে লকডাউনের সময় নির্বাচন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যেকোনো দিন ভোট গ্রহণের দিন নির্ধারণ করার আবেদন করা হয় রিটে।

নোটিশে বলা হয়, ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের আসনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান লকডাউন নীতির বিরোধী।

সংবিধানের ১২৩ এর (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্য পদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্য পদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।

‘তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’

চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে লড়বেন হাবিবুর রহমান হাবিব। জাতীয় পার্টির হয়ে লড়বেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক।

বিএনপি থেকে এই নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা বলা হলেও প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী।