অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

অতিবৃষ্টি বন্যা ভূমিধসে মহারাষ্ট্রে প্রাণহানি বেড়ে ১১২

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ২৪ জুলাই ২০২১ শনিবার  

ভারতের মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে

ভারতের মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে

ভারতের মহারাষ্ট্রে অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২ জনে। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে নিম্নভূমির কয়েকশো গ্রাম যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিঘ্ন ঘটছে ট্রেন চলাচলে।

পশ্চিম উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টির পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিতে কয়েকটি বাঁধ খুলে দেয়ায় প্রবল বন্যার ঝুঁকিতে থাকা হাজারো গ্রামবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদীর উচ্চতা বেড়ে গিয়ে অনেক এলাকায় প্লাবন, ভূমিধস হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাঁধ ও নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কিছু বাঁধ খুলে দিয়ে পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে আমাদের। নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।’

উপকূলীয় অঞ্চলে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনা ও নৌবাহিনী। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানী মুম্বাইয়ের ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে উপকূলবর্তী গ্রাম তালিয়েতে ভূমিধসে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩৮ জনের। মাটিচাপা পড়েছে ছোট্ট গ্রামের প্রায় পুরোটাই।

মহারাষ্ট্রের আরও নয়টি এলাকায় ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৯ জনের। এ ছাড়া তীব্র বৃষ্টির মধ্যে আবাসিক ভবনে ধসসহ কয়েকটি দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সাতারা ও রায়গড় জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে অর্ধশতাধিক মানুষ আটকে থাকতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের নাম এক কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘সাতারা, রায়গড় ও রত্নগিরির কয়েকটি স্থানে উদ্ধারকাজ চলছে। অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা-নেয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’

মোদির দুঃখ প্রকাশ-

বন্যায় প্রাণহানির খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশ্বাস দিয়েছেন প্রয়োজনীয় সহযোগিতার।

বন্যার পানি রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের সঙ্গে দক্ষিণের শহর বেঙ্গালুরুর সংযোগ মহাসড়কে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার ট্রাক। কয়েক শ গ্রাম, শহরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।

উপকূলীয় একটি জেলার সব সেতু ও মোবাইল টাওয়ার ধসে যাওয়ায় পুরোপুরি যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জনপদটি।

দুর্গতদের ভবনের ছাদে আশ্রয় নেয়ার অনুরোধ করছে প্রশাসন, যেন হেলিকপ্টার থেকে তাদের সহজে দেখা ও উদ্ধার করা যায়।

চলতি মাসে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি দেখেছে মহারাষ্ট্র। আরও কয়েক দিন এমন বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বন্যার জন্য বেশ কিছু কারণকে দায়ী করা হলেও মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আর বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য বেড়েছে অতিবৃষ্টি।