অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পঞ্চগড়ে পুলিশ পাহারায় ৪ পরিবারের ঈদের জামাত আদায়

সোহাগ হায়দার, পঞ্চগড়

প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৭:১৪ পিএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চগড়ে এক মসজিদে ঈদের জামাত উদযাপিত হয়েছে। এসময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করায় পুলিশ পাহারায় চার পরিবারের ৭ জন মুসল্লী ঈদের জামাত আদায় করেছেন।

ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদের। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে ওই ৪ পরিবারের সদস্য মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেয়। 

একদিন আগে ঈদের জামাত আদায়কে কেন্দ্র করে ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লী বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খচর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে পুলিশ পাহারায় ঈদের জামাত আদায় করে ৭ জন মুসল্লী।

উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম জানান, গত রমজান ঈদেও ওই ৪/৫টি পরিবারের সদস্যরা মহিলাদের নিয়ে মসজিদে একদিন আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছিল। এর পর আমরা মসজিদের ৬৮টি পরিবারের মুসল্লীরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মহিলাদের নিয়ে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেব না। এবারও তারা মহিলাদের নিয়ে নামাজ আদায় করতে চেয়েছিল। মুসল্লীদের বাঁধায় শুধু ৬/৭ জন মুসল্লী মসজিদে নামাজ আদায় করেছে।

মসজিদের সভাপতি আব্দুল্লাহ জানান, কোরআনে নারী পুরুষ সবার জন্য হুকুম সমান একারণে গত রমজান ঈদে আমরা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এবারও প্রায় ৪০ পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছিল। কিন্তু মসজিদের একদল  মুসল্লী আমাদের মসজিদে নামাজ আদায়ে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশি পাহারায় আমরা কয়েকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছি।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্ লতিফ মিয়া পিপিএম জানান, সকালে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করতে গেলে এসময় ওই মসজিদের ৬৮ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের পাহারায় তারা ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় এ জামাত পড়ান ইমাম মনির হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মসজিদের অধিনে ৭২টি পরিবার বসবাস করেন। এরমধ্যে ৪টি পরিবার একদিন আগে নামাজ আদায়ের পক্ষে এবং ৬৮ পরিবার একদিন আগে ঈদের জামাত আদায়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। যা পরবর্তীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।