অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইভ্যালির কাছে ছয় প্রশ্নের জবাব চায় মন্ত্রণালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৫ এএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ১২:৩৬ এএম, ২০ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

ইভ্যালির কাছে ছয় প্রশ্নের জবাব চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ইভ্যালির কাছে ছয় প্রশ্নের জবাব চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

বহুল সমালোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই নোটিশে ছয়টি প্রশ্ন উল্লেখ করে তার জবাবও চাওয়া হয়েছে। জবাব দিতে হবে আগামী ১ আগস্টের মধ্যে।

সোমবার (১৯ জুলাই) ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জবাব পাওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

ইভ্যালির অফিস গত ১ জুলাই লকডাউন শুরুর দিন থেকেই বন্ধ। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের কারণেই তারা অফিসে যাচ্ছেন না। আর ঈদের পর আটকে থাকা অর্ডার নিয়ে পরিকল্পনা জানাবেন বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল।  এদিকে, রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

তবে এত কিছুর পরেও বিপুল পরিমাণ অর্ডার পাওয়ার দাবি করা হচ্ছে ইভ্যালির পক্ষ থেকে। এক ঘণ্টায় ৫৩ হাজার মোবাইল ফোনের অর্ডার পাওয়ার দাবি করা হয়েছে রবিবার।

যে ৬ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে-

১. গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালির কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা চলতি সম্পদ থাকার কারণ কী? বাকি টাকা ইভ্যালির কাছে আছে কি না। থাকলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে, না থাকলে দিতে হবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা।

২. ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের বিনিময়ে যে পণ্য দেওয়ার কথা, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা কী এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

৩. ১৫ জুলাই পর্যন্ত মার্চেন্টদের নিকট দায়ের পরিমাণ কত এবং তা পরিশোধের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

৪. ব্যবসা শুরুর পর থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি কী টাকা নিয়েছে, মার্চেন্টদের কত অর্থ পরিশোধ করেছে এবং প্রশাসনিক ও অন্যান্য খাতে কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ।

৫. ইভ্যালির ব্যবসা পদ্ধতি এবং বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা।

৬. ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো ব্যবসা পদ্ধতি বা কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনো আছে কি না, থাকলে কী—এসব বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা।

কারণ দর্শানোর নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে যে ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ করছে না। যেসব মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নেওয়া হয়েছিল, তাদেরও অর্থ পরিশোধ করছে না ইভ্যালি। এসব কার্যকলাপের ফলে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা এবং বিক্রেতার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’