অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইভ্যালির কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে চাইবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৪৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০১:৪৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০২১ সোমবার

ইভ্যালির কাছে তাদের ব্যবসার ধরন বা পদ্ধতি (বিজনেস মডেল) জানতে চাইবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ইভ্যালির কাছে তাদের ব্যবসার ধরন বা পদ্ধতি (বিজনেস মডেল) জানতে চাইবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

ইভ্যালির কাছে তাদের ব্যবসার ধরন বা পদ্ধতি (বিজনেস মডেল) জানতে চাইবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গ্রাহক এবং যাদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য এনেছে, সেসব পাওনা ইভ্যালি কীভাবে পরিশোধ করবে, তাও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হবে। জবাব দিতে ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ জুলাই) এ ব্যাপারে ইভ্যালির কাছে চিঠি পাঠানোর কথা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।

রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। তাতে সভাপতিত্ব করে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘এটা একটা অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। গণমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইভ্যালির ওপর করা বাংলাদেশ ব্যাংকের গত মাসের প্রতিবেদনের আলোকে এ দফায় ইভ্যালির ব্যবসায়ের পদ্ধতি চিঠি দিয়ে জানতে চাইব আমরা। গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা ফেরত বা টাকার বিপরীতে তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর কী উপায় অবলম্বন করবে ইভ্যালি, তা জানতে চাওয়া হবে চিঠিতে। এ জন্য ইভ্যালিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হবে।’

ইভ্যালি কীভাবে টাকা ফেরত দেবে, জানতে চাইবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মেটা-বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আগামীকাল সোমবার ইভ্যালির কাছে একটি চিঠি পাঠাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কেউ কেউ ইভ্যালিতে প্রশাসক বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বলেছেন ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত মাসে ইভ্যালির ওপর এক প্রতিবেদন তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, কোম্পানিটির মোট দায় ৪০৭ কোটি টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৪ কোটি টাকা, মার্চেন্টদের কাছ থেকে বাকিতে পণ্য নিয়েছে ১৯০ কোটি টাকার। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার সম্পদ।

এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৪ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। 

এ টাকা ইভ্যালি আত্মসাৎ বা অবৈধভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালিকে এ দফায় চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পাওনা টাকা পরিশোধের পদ্ধতি ও সময়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

দুদক মনে করছে, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলতে থাকা অবস্থায় অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ত্যাগ করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এ কারণে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।