অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ইভ্যালি-সহ ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের লেনদেন স্থগিত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১ শনিবার  

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালিসহ আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।

অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-আলেশা মার্ট, ধামাকা শপিং, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদীনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস।

নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকাশ জানায়, গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষায় কয়েকটি মার্চেন্টের জন্য বিকাশ-এর পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া আরও জানানো হয়, 'রেগুলেটরি নীতিমালা অনুযায়ী পেমেন্ট ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পর পুনরায় বিকাশ পেমেন্ট সেবা চালু করা হবে,' বলে উল্লেখ করেছে বিকাশ।

গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় যে, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। সে পরিদর্শন প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের নিকট হতে ১৮৯.৮৫ কোটি টাকার মালামাল বাকিতে গ্রহণের পর স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা।

এছাড়া দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টের ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস না থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সংস্থাটির দুই কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে বলে তাদের উপর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা আসে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে, ভ্যালির সঙ্গে একে একে সম্পর্ক ছিন্ন করছে পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট)। গত দুই দিনে এসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে, ইভ্যালির দেওয়া ভাউচারে তারা আর পণ্য সরবরাহ করবে না। কারণ, তারা ইভ্যালির কাছ থেকে পণ্যের দাম পাচ্ছে না।

পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বকেয়া টাকার জন্য ইভ্যালির কার্যালয়ে ভিড় করছে। পাশাপাশি পণ্য ও অর্থ ফেরত না পাওয়া গ্রাহকেরাও রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে ভিড় শুরু করেছেন। তবে ইভ্যালির কার্যালয়টি বন্ধ রয়েছে। হটলাইন নম্বরেও ফোন করে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকেরা।