অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রধানমন্ত্রীর ভুয়া এপিএসের দোষ স্বীকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:১২ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১ শনিবার  

রিমান্ড চলাকালীন সময়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন কবীর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছে টাকা দাবি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।

পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে সময়ে গত ১৫ জুলাই গিয়াস উদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. আসাদুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার (১৭ জুলাই) আদালত সূত্রে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার তথ্য জানা যায়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতারক গিয়াস উদ্দিন কবির কিছু দিন ধরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে টাকা দাবি করে। এই চক্র কুমিল্লা জেলার এডভোকেট কামাল হোসেনের নিকট হতে ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ধারণ করে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে।

উক্ত চক্র প্রতারণার অংশ হিসাবে উল্লেখিত মন্ত্রী এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের কাছে কখনো ভয়েস কল বা কখনো মেসেজের মাধ্যমে টাকা দাবি করে। উক্ত চক্র প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় ধারন করে বিভিন্ন ব্যক্তির চাকুরী বা বদলী করবে বলে টাকা দাবি করে। কেউ অজ্ঞাত ব্যক্তির কথা মতো টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে ভিকটিমকে ভয়ভীতি ও সামাজিক ভাবে মান সম্মান ক্ষুন্ন করবে বলে হুমকি দেয়া হতো।

গত ১১ জুলাই কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে উক্ত মোবাইল ও সিম উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে। ওইদিন পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।