অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: ১০ বিষয়ে সিআইডির তদন্ত শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২১ শনিবার  

রূপগঞ্জে হাশেম গ্রুপের কারখানায় আগুনের ঘটনায় তদন্ত কাজ শুরু করেছে সিআইডি

রূপগঞ্জে হাশেম গ্রুপের কারখানায় আগুনের ঘটনায় তদন্ত কাজ শুরু করেছে সিআইডি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শনিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ কারখানাটিতে প্রাথমিক তদন্ত করেছি ও বিভিন্ন আলামত পেয়েছি। ঘটনার সময়কার সাক্ষীদের সাক্ষ্য পেয়েছি। আজ থেকে মূল তদন্ত শুরু। পুলিশের করা মামলার ১০টি বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এর সঙ্গে সেখানে কী কী ধরনের সমস্যা ছিল তাও বেরিয়ে আসবে।’

এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসসহ চারটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সবার তদন্তের সঙ্গে সিআইডির ফলাফল মিলে যাবে বলে ধারণা করছেন ডিআইজি। তদন্তে আরও কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তারা।

তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ আছে যত দ্রুত সম্ভব মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য। তাই তারা দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮টি ইউনিট একটানা ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে কারখানামালিক আবুল হাসেম, তর চার ছেলে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসেম ফুড কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বুধবার আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জামিন পান আবুল হাসেমের দুই ছেলে।