অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রূপগঞ্জ কারখানায় আগুন: চেয়ারম্যান হাশেমসহ ৬ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৬:২৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২১ বুধবার

চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত

চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড (সেজান জুস) কারখানায় আগুনের ঘটনায় ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা খাতুনের আদালত বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে এই আদেশ দেন। এ সময় দুই আসামিকে জামিন দেয়া হয়।

এর আগে চার দিনের রিমান্ড শেষে আট আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে তোলে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি  জানান, আসামিদের আদালতে তোলা হলে তাদের আইনজীবী জামিন আবদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাওসীব ইব্রাহিম ও তানজীম ইব্রাহীমকে জামিন দেয়। চেয়ারম্যান এম এ হাশেমসহ ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ এসেছে।

দুর্ঘটনার দুই দিন পর ১০ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের ওই আটজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করে পুলিশ।

ওই দিন বিকেলে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, তার ছেলে হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহিম, তাওসীব ইব্রাহিম, তানজীম ইব্রাহীম, প্রতিষ্ঠানটির সিইও শাহান শাহ আজাদ, ডিজিএম মামুনুর রশিদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কাম অ্যাডমিন মো. সালাউদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে হাশেম ফুড লিমিটেডের কারখানায় আগুন লাগে। শুরুতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরের দিন উদ্ধার করা হয় ৪৯ জনের মরদেহ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে।

বেশির ভাগের মরদেহই পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তের জন্য স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার আগুন লাগলেও শুক্রবার রাতের আগে পুরোপুরি আগুন নেভানো যায়নি।

মালিকপক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই এই আগুনের সূচনা। তবে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনার পেছনে কারখানা কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা দায়ী বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সংস্থা। ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গঠিত এই উচ্চপর্যায়ের কমিটি সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।