এবার ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করবে দুদক
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ৮ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার
দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে কমিশন
ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেস ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদককে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে কমিশন। টিমের আরেক সদস্য হলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শিহাব সালাম। দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হোসন খান বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাত কিংবা অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা করে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ই-ভ্যালি ডট কমের বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদককে আলাদা চিঠি পাঠায় মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা অগ্রিম নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেয়া এবং মার্চেন্টদের ১৯০ কোটি টাকা পাওনা ফেরত দেয়ার বিষয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনকে নির্দেশ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ই-ভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের নিকট হতে ১৮৯.৮৫ কোটি টাকার মালামাল বাকিতে গ্রহণের পর স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকার।
গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ই-ভ্যালির দায়ের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে আশঙ্কা করে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদনে জানায়, এ কারণেই ই-ভ্যালি কর্তৃপক্ষ কোম্পানির রেপ্লিকা ডাটাবেইজে পরিদর্শন দলকে ঢুকতে দেয়নি।
দুদক সূত্র জানায়, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসাবে নেয়া প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। হদিস না পাওয়া সেই অর্থের খোঁজে মাঠে নামছে দুদক।