অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

রাজধানীতে আরও বেড়েছে গাড়ি, অলিগলিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ৬ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৪:০৮ পিএম, ৬ জুলাই ২০২১ মঙ্গলবার

লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীর সড়কগুলোতে গাড়ির সংখ্যা আরও বেড়েছে। যদিও সড়কে কঠোর অবস্থানে আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অলিগলিতে তাদের উপস্থিতি না থাকায় অহরহ দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার ঘটনা।

গত পাঁচ দিনের তুলনায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সড়কে কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা কিছুটা বেশি দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে যানজটও লক্ষ্য করা গেছে। তবে চেকপোস্টে কড়াকড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

সকালে যাত্রাবাড়ী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রিকশা আর ভ্যানে করে মানুষ নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। লকডাউনের শর্ত অনুযায়ী এসব কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও অধিকাংশই তা করেনি। ফলে রিকশা বা হেঁটেই তারা গন্তব্যে যাচ্ছেন। এছাড়া রাজধানীতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মানুষ আরও বেশী বের হচ্ছেন।

একই চিত্র বাসাবো ও মানিকনগর এলাকার। এখানকার অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ মতিঝিলের বিভিন্ন অফিস চাকরি করেন। এসব এলাকায় রিকশা ও ভ্যানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে। সকাল থেকে নগরীর ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, বাড্ডা, দৈনিক বাংলা, বাংলা মোটর, কারওয়ান বাজার, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকাতেও এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাস্তায় চলাচল করা মানুষজনকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। সঠিক উত্তর দিতে না পারলে জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া আটকও করা হয়েছে অনেককে।

মিরপুর ১০ নম্বর মূল পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট নূর হোসে জানান, ভোর থেকে ডিউটি করছেন। এ কারণে কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। রাস্তায় গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় সকলকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয় না। তবে সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ যানবাহন আটকে গাড়ির কাগজপত্র ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১০টি মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সড়কগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিলেও অলিগলিতে উপেক্ষা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। কারওয়ান বাজার ও বাড্ডার কাঁচাবাজার অলিগলিতে অনেক মানুষকে মাস্ক পরতেই দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবাই।