অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মগবাজারে বিস্ফোরণ: হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৩ এএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার  

রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস গেটে বিস্ফোরণে ইমরান (২৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। 

বিস্ফোরণ ঘটা ভবনের বেঙ্গল মিট নামক দোকানে সেলসম্যান হিসেবে ২ বছর ধরে চাকরি করছিলেন ইমরান। ঘটনার দিন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ জন। 

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে ভবনের কেয়ারটেকার হারুনুর রশিদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। হারুনুর রশিদের ছবি নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ছুটে গেছেন তার মেয়ে। কিন্তু কোথাও সন্ধান না পেয়ে ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করেন। পরে তার কক্ষ থেকেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ঘটনার দিন সাতজনের মৃত্যু হয়। 

শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমরানের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ৪৮ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় ১২ জনকে। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। এবং দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসকরা।

বিস্ফোরণ চিত্র-

৭৯ নম্বর আউটার সার্কুলার রোডের পুরনো একটি তিনতলা ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউস ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র। বিস্ফোরণে শরমা হাউস ও বেঙ্গল মিট চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে্।

পাশের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অপরাজেয় বাংলার অফিস। বিস্ফোরণে অফিসের জানালার থাই গ্লাসের কাঁচ ভেঙে গুরুতর আহত হয় গণমাধ্যমটির সম্পাদক মাহমুদ মেনন ও নির্বাহী সম্পাদক পলাশ মাহবুব। দুজনেরই মাথায় এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে কাঁচ ঢুকে যায়। তারা দুজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অফিসের কম্পিউটার এবং অন্যান্য আসবাব। এই ভবনটির সিড়ি এবং সামনের অংশ ভেঙেচুড়ে একাকার। এছাড়া পুরো ভবনটিও মাটিতে কিছুটা দেবে গেছে।

ভবনের সামনের সড়কে কাজ চলছে, সেখানেও গ্যাস ও ইলেকট্রনিক তার রয়েছে। সড়কের উপর লাব্বাইক ও আল মক্কা পরিবহনের দুটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাসগুলোর কাচ ভেঙে পড়েছিল। এগুলোর ভেতরে রক্তের দাগও দেখা যায়।