অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: গ্রেফতার তিন নারী কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার  

তিন  নারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতে

তিন নারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতে

ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা অভিযোগে গ্রেফতার আসামি অমির তিন সহযোগী নারীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

শনিবার (১৯ জুন) বিমানবন্দর থানার দায়ের করা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিনদিনে রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল।  

এসময়  মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)। 

এর আগে গত ১৪ জুন দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। পরেরদিন দিবাগত রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

এর আগে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৪ জুন বেলা ১২টার দিকে সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। এতে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

বাদীর এজাহারে বলা হয়, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি ও বনিসহ দুটি গাড়িতে উত্তরার দিকে যান। পথের মধ্যে অমি বলে বেড়িবাঁধে ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার ২ মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো আমরা ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, অমি কোনো এক ব্যক্তির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে। 

তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। তখন অমি ভেতরে যায় এবং বলে এখানের পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। ইতোমধ্যেই আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে প্রবেশ করে বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট হতে বের হতেই ১নং বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদেরকে ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। 

আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ ১নং আসামি মদ্যপান করার জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে ১নং আসামি জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই। 

১নং আসামি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন ও আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ১ নং আসামি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রাখা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ১নং আসামিকে বাধা দিতে চাইলে তাকেও মারধর করে জখম করে। আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিতে গেলে আমার ব্যবহৃত ফোনটি মেরে ফেলে দেয়।’