অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফাইজারের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সোমবার

স্পটলাইট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০৫:২৮ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাত দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাত দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে সোমবার (২১ জুন)। প্রথমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন করেও যারা টিকা পাননি, তাদের মধ্য থেকে আপাতত ১২০ জনকে দেয়া হবে ফাইজারের ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার (১৯ জুন) এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশে ফাইজারের  ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা আছে। 

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাত দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একযোগে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা। 

১২০ জনকে দেয়ার পর এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে টিকা প্রয়োগ। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলে ৭ দিন পর গণহারে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এ টিকা তাপমাত্রা জটিলতার কারণে রাজধানীতেই দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা শুরু করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা টিকা দিয়ে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ। তবে রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭০ লাখ দেয়ার পর সেরাম আর টিকা দিতে পারেনি। এ অবস্থায় অন্য দেশ থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আর ফাইজারের কিছু টিকা পাওয়া গেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভি, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভির মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হয় দুই ডোজ করে।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনার টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের এই টিকা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এই টিকার দাম তুলনামূলক বেশি আর এর কার্যকারিতাও বেশি। এ কারণে এই টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে।

ফাইজারের ভ্যাকসিন সারা দেশে পরিবহন করার মতো কোল্ড চেইন সিস্টেম না থাকায় এগুলো মূলত রাজধানীতেই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফাইজারের ভ্যাকসিন অবশ্যই মাইনাস ৬০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।