অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

খুলনায় করোনায় একদিনে ১১ মৃত্যু

স্পটলাইট ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার   আপডেট: ০১:০৬ পিএম, ১৯ জুন ২০২১ শনিবার

এছাড়া ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে

এছাড়া ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে

খুলনায় করোনাক্রান্ত এক দিনে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে, করোনার এটিই এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

শনিবার (১৯ জুন) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, করোনায় ৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

হাসপাতালে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৫ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে রেডজোনে ৯৫ জন, ইয়ালোজোনে ২১ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতক্ষীরার ৩, যশোর ও খুলনার ২ ও পিরোজপুরের ১ জন রয়েছেন।

তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে আগের ১৬ দিনের তুলনায় নগরে করোনা পজিটিভ রোগী বেড়েছে ১২৫ শতাংশ। বিপরীতে উপজেলাগুলোয় চলতি মাসে করোনা রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫৮ শতাংশ বা সাড়ে তিন গুণ।

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, উপজেলাগুলোতে গত মাসের শেষ দিক থেকে চলতি মাসজুড়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শহরেই মাস্ক ব্যবহারে ব্যাপক অনীহা আর উপজেলায় তো মাস্কের ব্যবহার নেই বললেই চলে।

পারিবারিক-সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়েও উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো, এসব কারণেই গ্রামের সংক্রমণ পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী। 

এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, বেশি করে টেস্টের আওতায় আনা, হাটবাজারে নজরদারি জোরদার করা, খেয়া পারাপারের সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং সর্বোপরি সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।