অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রথম বৈঠককে ‘সন্তোষজনক ও ইতিবাচক` বললেন বাইডেন-পুতিন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ১১:৪১ এএম, ১৭ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

মুখোমুখি বৈঠকে ক্ষমতাধর দুই প্রেসিডেন্ট

মুখোমুখি বৈঠকে ক্ষমতাধর দুই প্রেসিডেন্ট

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় লেকের ধারের বৈঠককে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর রাশিয়া ও আমেরিকা জানিয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই নেতা। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের ব্যাপারেও। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে বিশ্বের ক্ষমতাধর দুই দেশের প্রেসিডেন্ট মুখোমুখি হন।

তারা জানিয়েছেন, পরমাণু যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়, ফলে সেই যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়াই ভালো। একই সঙ্গে অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও তাদের কথা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী বৈঠক করবেন ও চুক্তি করবেন।

এ বৈঠককে ‘সন্তোষজনক ও ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন। তিনি বলেন, দুটি দেশের সম্পর্ক উন্নততর হবে কি-না আগামী কয়েকটি মাস তা প্রমাণ করবে। হঠাৎ করে এ সব সমস্যার সমাধান করা যাবে না।

আরও বলেন, দুটি দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের একক কোন নীতি বা মূল্যবোধ বিসর্জন না দিয়ে অর্জন করা সম্ভব।

বৈঠক শেষে দোভাষীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও গঠনমূলক বলে উল্লেখ করেন। বলেন, তাদের আলোচনায় কোনো বৈরিতা ছিল না। বাইডেনকে গঠনমূলক, পরিশীলিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক বলে উল্লেখ করেন পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জানিয়েছে, সম্পর্ক উন্নয়ন ও কৌশলগত স্থিতিশীলতা প্রশ্নে তারা একসঙ্গে কাজ করবে। তবে দুই প্রেসিডেন্ট পরস্পরকে নিজেদের দেশে আমন্ত্রণ জানাননি।

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, বৃহৎ দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক বজায় রাখার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রত্যাহার করা রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নিতে বৈঠকে একমত হয়েছেন বাইডেন ও পুতিন। দুজনের সংবাদ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বাইডেন ও পুতিন দুজনই বলেছেন, দুই দেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এমনকি উত্তেজনার সময়েও তারা অভিন্ন লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন তারা।

জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল পুতিনের সঙ্গে বাইডেনের প্রথম বৈঠক, যা তিন ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয়।