অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগস্টে কোভ্যাক্স থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকা আসছে

স্পটলাইট ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ১৬ জুন ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ১৬ জুন ২০২১ বুধবার

আগস্টের মধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসছে

আগস্টের মধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসছে

আগস্টের মধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় অস্ট্রেজেনেকার ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাসে ১০ লাখ টিকা কোভ্যাক্স থেকে আমরা পাব। সেই চিঠি আমরা পেয়েছি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে।’

তবে, এর বাইরে আর কোনো টিকার বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে তিনি কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।

চীন ও রাশিয়ার টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে চীন এখনও কিছু জানায়নি। আশা করছি এই মাসের মধ্যে জানাবে। আমাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করার ছিল, তা শেষ। আর রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে, আজকেও আলোচনা আছে। আজকে হয়তো তারা সিদ্ধান্ত দিবেন, কবে টিকাদেবে, কী পরিমাণ দেবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকার বিষয়ে নতুন কিছু জানতে পারেননি তারা। তবে, যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এ টিকা দেশে আনার বিষয়ে গত নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুসারে ৩ কোটি ডোজের প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এসেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে সরবরাহ বন্ধ করে দেয় সেরাম। শেষ পর্যন্ত টিকা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় দেশের টিকাদান কর্মসূচি।

কেনা টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। চুক্তিতে দায়মুক্তি দিয়ে রাখায় সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ নেই।

সরকার টিকার জন্য দ্বারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার। চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি আর যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন।