অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মাছের খাবার ব্যবহারে চাষীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ০২:০০ পিএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

বাংলাদেশ মৎস্য চাষে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে মৎস্য খাদ্যের চাহিদা। এ সুযোগে অনেকেই অবৈধভাবে ছোট ছোট কারখানা তৈরি করে নিম্নমানের মাছের খাবার তৈরি করছে। প্রতিকেজি ৫-১০ টাকা কম হওয়ায় এসব খাবার কিনে মাছ-চাষিরা প্রতারিত হচ্ছে এবং লোকসান গুনছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম। 

সোমবার (১৪ জুন) লালমনিরহাটের কাকিনা ইউনিয়নের উত্তরবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘২০২০-২১ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরডি ও এফএফগণের মাছচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ চলাকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একেক মাছের জন্য খাবারের পুষ্টিগুণ একেক রকম হতে হয়। পাঙ্গাস মাছের জন্য যে খাবার সে খাবারে শিং মাছের চাষ ভালো হয় না। এরূপ প্রতিটি আলাদা ধরনের মাছের জন্য আলাদা আলাদা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ব্যবহার করতে হবে। এতে স্থানীয় মাছ চাষিরা অধিক লাভবান হতে পারবে।

তিনি জানান, মৎস্য খাদ্য আইন-২০১০ মেনে যে সব প্রতিষ্ঠান আদর্শ মানের মাছের খাবার তৈরি করছে সেখানকার খাবার ব্যবহারে বড় প্রজাতির মাছ চাষে দেড় কেজি খাবারে মাছের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আর অন্য সাধারণ খাবার থেকে দুই কেজির বেশি খাবার দিলেও মাছের ওজন আশানুরূপ হবে না।

মাছ চাষীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা বাড়িতেই এ ধরনের খাবার তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা যেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে খাবার তৈরি ফর্মুলা অনুযায়ী আমিষ ও প্রোটিনের প্রয়োজনীয় মাত্রা অনুযায়ী খাদ্য তৈরি করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ চলাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র মৎস্য সহকারী পরিচালক মো. সামসুল করিম, প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন, উত্তরবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগিয় প্রধান ড. আবু শাহাদাত রুবেল, ইউনিয়ন প্রকল্প ক্ষেত্রসহকারী মো. হারুন অর রশীদ ও মো. একরামুল হক ।