নাসির-অমিদের আদালতে তোলা হবে, রিমান্ডে চায় পুলিশ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার
আসামিদের ব্যাপারে সব ধরনের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে
ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলায় গ্রেপ্তার নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে মঙ্গলবার (১৫ জুন) তাদের আদালতে নেওয়া হবে। এই পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসূত্রে জানা গেছে, আসামিদের ব্যাপারে সব ধরনের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় গতকাল সোমবার নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় পরীমনি ছয়জনকে আসামি করেছেন।
এর মধ্যে ব্যবসায়ী নাসির ও তুহিন সিদ্দিকীর নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি চারজন অজ্ঞাতনামা আসামি। গতকাল পুলিশের অভিযানে তিনজন নারীও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
সোমবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি, লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।
এর আগে বিকেলে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদসহ এই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরীমনি গত রবিবার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বের হন। বন্ধুটি তাদের নিয়ে যান আশুলিয়ার একটি ক্লাবে।
সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে নাসির ইউ মাহমুদ হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও।
এরপর ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি।