অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ: চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চলছে প্রস্তুতি

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার   আপডেট: ১১:২৭ এএম, ১৫ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটছে বাংলাদেশের। ২০১৮ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো এবং ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে এই সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিলের (ইউএনসিডিপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০২৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। 

অর্থাৎ ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য প্রযোজ্য সমস্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে বাংলাদেশ। তারপরেই দেখা দিবে অর্থনীতির মূল চ্যালেঞ্জ। আর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকার। 

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর তৈরি অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে সরকার ইউএনসিডিপিকে তিন বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকালীন সময় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। 

এদিকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের গ্রুপের মাধ্যমে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে যেখানে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের পরও ব্যবসায়িক সুবিধাগুলো ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। 

রফতানি বাজারে আরও সুযোগ নিতে নতুন পরিকল্পনা করছে সরকার। বর্তমান বাজেট অধিবেশনে সে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতামূলক উন্নতি করবে বলে আশা করেছেন তিনি। 

আমদানিকারকদের সুবিধায় নতুন গাইডলাইন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালায় আমদানিকারকরা তাদের আমদানিকৃত পণ্য বাজারে বিক্রি করার পর ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী ভোক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে সে অর্থ পরিশোধের সময়সীমা হবে তিন মাস। আর শিল্প কাঁচামালের জন্য ছয় মাসের মধ্যে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। 

২০২০ সালে দু'দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার করতে ভুটানের সাথে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর করেছে। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। 

এছাড়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু'দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তি সই করতে সম্মত হয়েছে। অন্যান্য ১১ টি দেশের সাথেও এ জাতীয় চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রচেষ্টা চলছে। 

বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়াতে সরকার ‘ইজ অফ ডুইং বিজনেস’ সূচকেও  র‌্যাঙ্কিং উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে।