অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

প্রধানমন্ত্রীর উপহার: কুড়িগ্রামের ১১’শ ভূমিহীন পরিবার পাবে স্থায়ী ঠিকানা

সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার   আপডেট: ০৪:৩৯ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার

জমিসহ সুসজ্জিত রঙ্গিন পাকাঘরে স্থায়ী নীড় পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর কুড়িগ্রামের ১১শ ভুমিহীন পরিবার। মুজিব বর্ষে উপহার হিসেবে ২য় পযার্য়ে নির্মিত পাকাঘর পাচ্ছেন গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার গুলো।

আগামী ২০জুন সকালে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নির্মিত এসব পাকা ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন কুড়িগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসক সহ যুক্ত হবেন উপকারভোগীরা। 

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব পাকা ঘর ও প্রস্তুতি ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব ভুইয়া। তিনি সদর উপজেলার ধরলা নদীর সন্নিকটে ৮ দশমিক ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত ৯০ টি পাকাঘর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। 

পাঁছগাছী ইউনিয়নে নির্মিত ধরলা আশ্রায়ণ প্রকল্পে উপস্থিত হয়ে বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন ভূমিহীনদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। পরে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব ভুইয়া বলেন, জাতির পিতার জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেজন্য এসব পাকাঘর নির্মাণ করে উপকার ভোগীদের দলিল করে দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্বে বিরল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৩ শে জানুয়ারি প্রথম দফায় ৭০ হাজার পরিবার কে ঘর হস্তান্তর করেছেন। এটি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী মানুষের জীবিকায়নের জন্য আয় বর্ধক কাজে সম্পৃক্ত করতে সরকারের মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, কৃষি সহ সব বিভাগ কাজ করবে। যে ব্যক্তি যে কাজ করতে চান তাকে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে উপকরণের ব্যবস্থা করা হবে। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ২য় পর্যায়ে সদরে ৯০ টি পরিবারকে জমির সঙ্গে পাকাঘর করে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট এসব ঘরে রান্নাঘর ও টয়লেট সংযুক্ত রয়েছে। দেয়া হয়েছে টিউবওয়েল ও বিদ্যুত সংযোগ।এই সুসজ্জিত ধরলা আশ্রয়ন প্রকল্পেরতারাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন।

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় প্রতিটি ঘরের জন্য পরিবহন খরচ সহ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, সদর উপজেলা ৯০ টি, নাগেশ্বরী ১০টি, ভুরুঙ্গামারী ৫১টি, ফুলবাড়ী ১০৫টি, রাজারহাট ৮০টি, উলিপুর ১৫০টি, চিলমারী ৩০০টি, রৌমারী ২০১টি ও চর রাজিবপুর উপজেলায় ৭৩ টি সহ জেলায় মোট ১০৭০ টি পাকা ঘর দলিল সহ হস্তান্তর করা হবে।