অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মামলা করতে বাদীর এনআইডি নম্বর বাধ্যতামূলক করলো আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার  

অভিযোগকারী বা মামলাকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

অভিযোগকারী বা মামলাকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

গায়েবি বা হয়রানিমূলক মামলা থেকে রক্ষাকবজ হিসেবে থানা কিংবা আদালতে মামলা দায়েরের সময় অভিযোগকারী বা মামলাকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ সংক্রান্ত একটি রিট মামলার শুনানি হয় সোমবার (১৪ জুন)। শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট এমাদুল হক বসির।

এর আগে গত ৭ জুন মামলার গায়েবি বাদীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়। রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে আইনজীবী এমাদুল হক বসির এ রিট দায়ের করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি), র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

রিটে আবেদনে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনার পাশাপাশি একই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রিট আবেদনকারী একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।

প্রসঙ্গত, ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়। 

এসব মামলায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয় বলে রিট আবেদনে বলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলারও বাদীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিবেচনায় তিনি অনেক মামলায় খালাস পেয়েছেন। 

এরপরও তার বিরুদ্ধে এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এসব মামলায় তিনি এক হাজার ৪৬৫ দিন জেলে খেটেছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়।