অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে ১৫ দিনের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:২৬ এএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার   আপডেট: ১২:২৭ এএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার

বাবুল আক্তারের দুই ছেলেমেয়েকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত

বাবুল আক্তারের দুই ছেলেমেয়েকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের দুই ছেলেমেয়েকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাবুলের বাবা ও ভাইকে ১৫ দিনের মধ্যে এ নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।

রবিবার (১৩ জুন) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার মিতুর দুই সন্তানকে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী উল্লেখ করে আদালতে করা আবেদনে বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন। কিন্তু বারবার উদ্যোগ নিয়েও তা সম্ভব হয়নি। বাবুল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার ১২ বছরের ছেলে এবং আট বছরের মেয়েটি তার পরিবারের কাছে রয়েছে।

পিবিআই কর্মকর্তা সন্তোষ বলেন, মাহমুদা আক্তার মিতুর বড় ছেলে হত্যাকাণ্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী এবং ছোট মেয়ে পরিবারের সদস্য হিসেবে এ মামলার একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। সঙ্গত কারণে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, চেষ্টা করেও তাদের হাজির করতে না পেরে আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি। আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সাক্ষীদের হাজির করতে তাদের দাদা ও চাচাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নাতি-নাতনীদের খোঁজ না পেয়ে মিতুর বাবার আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, এতে প্রতীয়মান যে, সাক্ষীদের দাদা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও চাচা হাবিবুর রহমান লাবু সাক্ষীরা যাতে তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিতে না পারে সেজন্য অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে।

পাঁচ বছর পর পিবিআই স্ত্রী হত্যায় বাবুল জড়িত থাকার কথা জানালে ১২ মে নতুন মামলা করেন মিতুর বাবা। ওই মামলায় এখন বাবুল কারাগারে।

আদালতে করা পিবিআই’র আবেদনে বলা হয়, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করতে বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া এবং চাচা হাবিবুর রহমান লাবুকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও তারা সাড়া দিচ্ছেন না।