অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আর মাঠে ফেরা হবে না এরিকসনের!

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৪২ পিএম, ১৩ জুন ২০২১ রোববার   আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ১৩ জুন ২০২১ রোববার

ম্যাচ চলাকালীন সময়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ায় ডেনিশ তারকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের পেশাদার ফুটবলের ইতি দেখছেন এক ক্রীড়া হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। 

শনিবার (১২ জুন) ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরোর ম্যাচে হঠাৎ করেই মাঠে অজ্ঞান হয়ে যান এরিকসন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে ঘোষণা করা হয় তবে তার এই পরিণতির আসল কারণ কী তা এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। 

এরিকসন যখন টটেনহামের হয়ে খেলতেন তখন দলটির হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন লন্ডনের জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর সঞ্জয় শর্মা। তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছে মারাত্মক কিছু হয়েছে। 

উল্লেখ্য, হৃৎপিণ্ড যখন হৃৎকম্পন পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। হৃৎপিণ্ডে হঠাৎ গোলযোগের ফলে এটি হয় এবং এর ফলে হার্টবিট অনিয়মিত হতে শুরু করে। হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে এর প্রাথমিক পার্থক্য এটাই যে হার্ট অ্যাটাকের সময় হৃৎপেশিতে রক্তসঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলেও হার্টবিট থেমে যায় না।

সঞ্জয় শর্মা জানান, ভাগ্য খুবই ভালো যে তাকে বাঁচানো গেছে তবে প্রশ্ন হলো আসলে কি হয়েছিল এবং সেটা কেন? ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমার তত্ত্বাবধায়নে থাকাকালীন সব স্বাভাবিক ছিল। তাহলে হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় কীভাবে?

তিনি বলেন, এমন অবস্থায় এরিকসনকে আর কখনই খেলার অনুমতি দেবে না যুক্তরাজ্য ফুটবল প্রশাসন। 

তিনি বলেন, এরিকসনের ঘটনা সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। এটা শুধু তাকে আক্রান্ত করেনি অনেক মানুষের মনে ভয় জাগিয়েছে। 

“সুখবর হলো সে বেঁচে আছে। আর  দুঃসংবাদ হলো তার পেশাদার ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হতে পারে। আমি নিশ্চিত যুক্তরাজ্য তাকে আর খেলতে দেবে না। অন্য দেশও সম্ভবত একই পথে হাঁটবে।  

এফএ এর বিশেষজ্ঞ কার্ডিয়াক গ্রুপের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ড. শর্মা। তিনি বলেন, এরিকসনের ঘটনার পিছনে উচ্চ তাপমাত্রা প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তার পেশাদার ফুটবলের ভবিষ্যত দেখছিনা। বাস্তবতা হলো আজ সে কিছুক্ষণের জন্য মারা গেছেন। চিকিৎসকরা কি তাকে আবারও মরতে দেবেন? আমার উত্তর হলো, না!