৩২তম স্প্যান বসলেই সেতু হবে ৪৮০০ মি
কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার
বসছে পদ্মাসেতুর ৩২তম স্প্যান। এতে স্বপ্নের সেতু কাঠামো পাবে ৪ কিলোমিটার ৮০০ মিটার। শনিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ২টায় শুরু হয় ৩২তম স্প্যানটি বসানোর কাজ। মোট ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসবে পদ্মাসেতুতে। এটি বসে গেলে আর বাকি থাকবে ৯টি স্প্যান বসানোর কাজ।
স্প্যান বসানোর কাজ তদারকিতে ছিলেন সেতুর দায়িত্বশীল প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের। তিনি জানান, শনিবার সকালেই বসানোর কথা ছিলো স্প্যানটির। তবে পদ্মার নাব্য সঙ্কটের কারণে তাতে কিছুটা দেরি হয়। পরে পানি বাড়লে দুপুর ২টার দিকে শুরু হয় স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজ স্প্যান নিয়ে খুঁটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৩২তম স্প্যানটি বসানো শুরু হয়।
৩১তম স্প্যান বসানোর ৪ মাস পর ৩২তম স্প্যান বসালো সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে ৫টি স্প্যান খুঁটির ওপর বসানোর লক্ষ্য থাকলেও দেশ জুড়ে বন্যায় মাওয়া প্রান্তের মূল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় এপর্যন্ত নতুন একটি স্প্যানও বসানো সম্ভব হয়নি। এরপর অক্টোবরে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে স্রোতের তীব্রতা স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের গতি ফিরেছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যান বসানোর দিন নির্ধারণ করা হয়।
৩২তম স্প্যান বসানো হলে মূল সেতুর অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪ হাজার ৮০০ মিটার।
৬ কিলোমিটার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মাসেতুতে সব মিলিয়ে ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি। আর ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে ৪০টি খুঁটি পানিতে আর ২টি ডাঙায়। ডাঙায় থাকা দু’টি খুঁটি সংযোগ সড়কের সঙ্গে মূল সেতুকে যুক্ত করবে। ৬টি মডিউলে বিভক্ত পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে এক হাজার ৪৭৮ মিটার ভায়াডাক্ট বা ঝুলন্ত পথ ও জাজিরা প্রান্তে এক হাজার ৬৭০ মিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দ্বিতল পদ্মাসেতুর পুরোটাই নির্মিত হবে স্টিল ও কংক্রিট স্টাকচারে। সেতুর ওপরে থাকবে কংক্রিট ঢালাইয়ের চার লেনের মহাসড়ক আর তার নিচ দিয়ে যাবে রেললাইন। নির্ধারিত সময়েই পদ্মাসেতুর কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলেই জানালেন প্রধান প্রকৌশলী।