অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

আটলান্টিক চার্টারে সই করে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন বাইডেন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ১১ জুন ২০২১ শুক্রবার  

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এবারের জি সেভেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনসন

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এবারের জি সেভেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনসন

যুক্তরাজ্যে ১৯৪১ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সই করলেন আটলান্টিক চার্টার। বিশ্বযুদ্ধকালে যা প্রথম সই করেছিলেন চার্চিল ও রুজভেল্ট।

জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ১৯৪১ সালে উইনস্টন চার্চিল ও ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের যে ঐকমত্য হয়েছিল, আটলান্টিক চার্টার তারই আধুনিক সংস্করণ।

শুক্রবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যে শুরু হচ্ছে জি সেভেন সামিট। বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছান বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।

কর্নওয়ালে বৃহস্পতিবার জনসন ও বাইডেন প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক করেন । বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জানিয়েছেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আটলান্টিক চার্টার সই করার পাশাপাশি রাশিয়া, চীন নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে জি সেভেনে আলোচনা করতে চান বাইডেন। ট্রান্স আটলান্টিক পলিসি, রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সমঝোতা এবং চীন নিয়ে ঐক্যমত। এ ছাড়া করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নিয়েও জি সেভেনে আলোচনা হওয়ার কথা।

জি–৭ ভুক্ত দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে এবারের জি সেভেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনসন। তার মধ্যে ইউরোপের পাশাপাশি ভারতও আছে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে গণতন্ত্র কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে মানুষকে ফের কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।

জি সেভেনের পর ন্যাটো এবং ইইউ-ইউএস সামিটে যাওয়ার কথা বাইডেনের। তারই মধ্যে ১৬ জুন পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে তার। বৈঠক হতে পারে মার্কেল ও যুক্তরাজ্যের রানির সঙ্গেও।