অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

মডেল মসজিদের আদ্যোপান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার   আপডেট: ০৪:১১ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন

সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের দাবি, বিশ্বে কোনো দেশে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণ এটাই প্রথম। এই মডেল মসজিদ সম্পর্কে জানতে হলে কিছুটা পেছনে ফিরতে হবে।

২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ইসলামি মূল্যবোধের উন্নয়ন এবং ইসলামি সংস্কৃতি বিকাশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এগুলোর প্রতিটি ৪৩ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মাণ করা হচ্ছে।

মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ করা হয়েছে আরব বিশ্বের মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের আদলে। বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রাখা হয়েছে। নান্দনিক নির্মাণশৈলীতে নির্মিত এসব মডেল মসজিদে রয়েছে একটি করে মিনার।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা ও কয়েকটি সিটি করপোরেশনে ৬৯টি, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৫টি এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা অজু ও নামাজকক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষাকেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাজার ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, অটিজম কর্নার, ই-কর্নার ও বিদেশি পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন প্রতিটি মসজিদে একসাথে ১২০০ মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। এছাড়া উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদে একসঙ্গে ৯০০ মানুষের নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।

সারাদেশে এসব মসজিদে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ এবং ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।

মসজিদে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবারহের জন্য রয়েছে সাব স্টেশন ও শক্তিশালী জেনারেটরের ব্যবস্থা ।ফায়ার এক্সটিংগুইশার, বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরাসহ নানা রকম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী, হানাদার বাহিনী এবং তার এদেশীয় দোসর-দালালরা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা, পৈশাচিক হত্যাকা-, জুলুম নির্যাতন অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি জঘন্য নির্মমতাকে ইসলামের নামে সমর্থন ও সহযোগিতা করে পবিত্র ইসলামকে তারা বিতর্কিত করে তোলে।

শান্তির ধর্ম ইসলামের শাশ্বত স্বরূপ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যথাযথভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা একান্ত অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। বঙ্গবন্ধু মনে প্রাণে ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি ও ঈমানদার মুসলিম। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ইসলামের মর্যাদাকে ভুলুণ্ঠিত করেছিল। এই অবস্থায় ইসলামের প্রকৃত রূপ জনগণের মাঝে তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সাড়ে ৩ বছরের শাসন আমলে ইসলামের খেদমতে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। স্বল্পকালীন সময়ে তিনি ইসলামের জন্য যতটা অবদান রেখে গেছেন তৎকালীন বিশ্বে তা নজিরবিহীন উদাহরণের সৃষ্টি করে।

ইসলামের মানবতাবাদী শিক্ষার আলোয় আলোকিত ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্ম জীবন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনুধাবন করেছিলেন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন-ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা, ভ্রাতৃত্ববোধ, পরমতসহিষ্ণুতা ও ন্যায়বোধ এর মত মৌলিক গুণাবলী ও এর বানীর প্রচার ও প্রসার দরকার তেমনি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে ইসলামী মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বাস্তবায়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নও প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন একটি অভিন্ন প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস, দর্শন, আইন, সংস্কৃতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ সকল মৌলিক উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ্যাক্ট, ১৯৭৫-এর মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী চিন্তার প্রতিফলন রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। উক্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ৮ হাজার ৭২২ কেটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়।

মসজিদ হচ্ছে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার অন্যতম স্থান। এ দেশের  ৯০ শতাংশ মুসলমান ধর্মীয় প্রার্থনার জন্য মসজিদে একত্রিত হয়ে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদগুলো নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মডেল মসজিদ প্রকল্পের উদ্দেশ্য:
- বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ্যাক্ট, ১৯৭৫ এর বাস্তবায়ন। দেশব্যপী মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সারাদেশে শক্তিশালী ইসলামী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা;
- প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণ করে সারাদেশে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও প্রকৃত মূল্যবোধের প্রচার ও দীক্ষাদান;
- সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ও সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা;
- পুরুষ ও নারী মুসল্লীদের জন্য নামাজ, ধর্মীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভৌত সুবিধাদি সৃষ্টি করা ;
- সর্বোপরি ইসলামিক জ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধের পরিচর্যা ও প্রসার করা এবং সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতি মানুষের আনুগত্য সমর্থন সৃষ্টি করা।
প্রকল্প কার্যক্রম: অনুমোদিত প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী ৪০ শতাংশ জায়গার উপর জেলা পর্যায়ে ৪ তলা ও উপজেলার জন্য ৩ তলা এবং উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এসব মসজিদ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। এ-ক্যাটাগরিতে ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। এগুলো নির্মাণাধীন রয়েছে ৬৪টি জেলা শহরে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায়। এগুলোর প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০.০৯ বর্গমিটার। ১৬৮০.১৪ বর্গমিটার আয়তনের বি-ক্যাটারির মসজিদ হবে ৪৭৫টি। এগুলো নির্মিত হচ্ছে সকল উপজেলায়। আর ২০৫২.১২ বর্গমিটার আয়তনের সি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ১৬টি উপকূলীয় এলাকায়। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন মসজিদগুলোতে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। অপরপক্ষে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একসাথে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

সারাদেশে নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন এ সকল মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে যে সকল সুবিধা রাখা হয়েছে তা হলো:

- নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা
- প্রতিবন্ধী মুসল্লীদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা
- ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র
- ইসলামিক লাইব্রেরী
- অটিজম কর্ণার
- ইমাম ট্রেনিং সেন্টার
- ইসলামিক গবেষণা ও দীনি দাওয়া কার্যক্রম
- পবিত্র কুরআন হেফজখানা
- শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা
- দেশী-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা
- মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা
- হজ্জ যাত্রীদের নিবন্ধনসহ প্রশিক্ষণ
- ইমামদের প্রশিক্ষণ গাড়ী পার্কিং
- ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা

জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় নির্মাণাধীন প্রতিটি মসজিদে একসাথে ১২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। অপরপক্ষে উপজেলা ও উপকূলীয় এলাকার মডেল মসজিদগুলোতে একত্রে ৯০০ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এসব মসজিদে সারাদেশে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২০০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারী একসাথে  নামাজ আদায় করতে পারবে।

লাইব্রেরি সুবিধার আওতায় প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক এক সঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সব সময় দোয়া, মোনাজাতসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।

মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরির ব্যবস্থা থাকবে। আরও থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতিবছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। কেন্দ্রগুলোতে পবিত্র হজ পালনের জন্য ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থা থাকবে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নীচ তলা ফাঁকা থাকবে। অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন এ সকল মসজিদ নির্মাণে প্রতিটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে:

- জেলা শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা;
- উপজেলা পর্যায়ে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা; এবং
- উপকূলীয় এলাকায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

সারাদেশে নির্মাণাধীন এ সকল মসজিদের ভৌত অবকাঠামো গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।  

সরকারি উদ্যোগ ও অর্থায়নে একই সাথে এতগুলো মসজিদ নির্মাণের এই মহতী উদ্যোগ জাতীয় ইতিহাসে শুধু নয় মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মুসলিম বিশ্বের কোন দেশের মুসলিম শাসক বা সরকার প্রধান একসাথে ৫৬০টি মসজিদ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অসাধারণ উদ্যোগ ইতিহাসের অংশ হিসাবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগের কথা যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে।

০১) ঢাকার সাভার ০২) ফরিদপুরের মধুখালী, সালতা ০৩) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, কুলিয়ারচর ০৪) মানিকগঞ্জের শিবালয় ০৫) রাজবাড়ির সদর উপজেলা ০৬) শরিয়পুরের সদর উপজেলা, গোসাইরহাট ০৭) বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, কাহালু   ০৮) নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ০৯) পাবনার চাটমোহর ১০) সিরাজগঞ্জের জেলা সদর, সদর উপজেলা ১১) রাজশাহীর গোদাগাড়ী, পবা ১২) দিনাজপুরের খানসামা, বিরল ১৩) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ১৪) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, সদর উপজেলা   ১৫) রংপুরের জেলা সদর, মিঠাপুকুর, সদর উপজেলা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ১৬) ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর ১৭) জামালপুরের সদর উপজেলা, ইসলামপুর ১৮) ময়মনসিংহের গফরগাঁও, তারাকান্দা ১৯) ভোলার সদর উপজেলা ২০) ঝালকাঠির রাজাপুর ২১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নবিনগর ২২) চাঁদপুরের কচুয়া ২৩) চট্টগ্রামের জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই, সন্দীপ     ২৪) কুমিল্লার দাউদকান্দি ২৫) খাগড়াছড়ির পানছড়ি ২৬) নোয়াখালীর সুবর্ণচর ২৭) চুয়াডাঙ্গার জেলা সদর ২৮) খুলনার জেলা সদর ২৯) কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা ৩০) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা।