অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

চট্টগ্রামে গৃহবধূ ধর্ষণে নারীসহ ৮ আটক, নাম এসেছে পুলিশ সোর্সের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১২:০০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার   আপডেট: ১২:১৩ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার মৌলভী পুকুর পাড় এলাকায় মধ্যরাতে গৃহবধূ গণধর্ষণের সাথে পুলিশের এক সোর্সের জড়িত থাকার কথা বলা হচ্ছে। সাথে এক নারীও ছিলেন সহযোগিতায়।

এরই মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই নারী রয়েছেন।  তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের সোর্স জড়িত থাকার বিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক।

‘তদন্তের স্বার্থে আমরা অনেক তথ্য এখন দিতে পারছি না। ৭২ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিকদের সামনে পুরো বিষয়টি ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব,’ বলেন সিএমপি উপকমিশনার।

শুক্রবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন তিনি।

তিনি জানান, অভিযোগ মতে, থানার মৌলভি পুকুর পাড় এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গৃহবধু ওই নারী ঘরে ফেরার সময় লম্পটদের কবলে পড়েন। তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে একটি গলির মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। খবরটি পুলিশের কাছে পৌছালে রাতেই অভিযান শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর নাগাদ এক নারীসহ ৮ জনকে আটক করা হয়।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক সাংবাদিকদের বলেন, ভিকটিম নারী রাঙ্গুনিয়া থেকে চট্টগ্রাম শহরে ফিরছিলেন। কাপ্তাই সড়কের মাথায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে রিকশা নিয়ে তার বাসায় যাওয়ার সময় তাকে রিকশা থেকে নামিয়ে প্রথমে মারধর পরে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।

পুলিশ যাদের আটক করেছে তারা হচ্ছেন- জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), মো. ইউসুফ (৩২), মো. রিপন (২৭), মো. সুজন (২৪), দেবু বড়ুয়া প্রকাশ জোবায়ের (৩১), মো. শাহেদ (২৪), রিন্টু দত্ত প্রকাশ বিপ্লব (৩০) ও মনোয়ারা বেগম প্রকাশ লেবুর মা (৫৫)।

গ্রেফতার ৮ জনের মধ্যে জাহাঙ্গীর, ইউসুফ, বিপ্লব ও দেবু পেশায় সিএনজি চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মনোয়ারা বেগমকে দেহ ব্যবসায়ী স্থানীয়রা বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

এদিকে আটককৃতদের মধ্য থেকে কয়েকজন বলছে, সুমন নামের কেউ একজন তাদের ফাসিয়েছেন। এই সুমন একজন পুলিশ সোর্স বলেও তারা উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এখনই কিছু বলতে রাজি হননি সিএমপির উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। বলেছেন, তদন্তের খাতিরে এখনই সব বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজয় বসাক বলেন, ঘটনার পর আমি নিজে ওই ভিকটিমের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেছি। ওই নারী আমাদের জানিয়েছেন ৮ থেকে ১০জন তাকে ধর্ষণ করেন। তাকে নির্মম মারধরেরও শিকার হতে হয়েছে। ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে কখনোই আমরা এই ধরনের ঘটনায় জড়িত করতে পারি না।

আটককৃত আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।