অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ঢাবিতে ১ জুলাই থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা সশরীরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:৫৫ এএম, ২ জুন ২০২১ বুধবার   আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ২ জুন ২০২১ বুধবার

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়

আবাসিক হল বন্ধ রেখে আগামী ১ জুলাই থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা সশরীরে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হলে একই তারিখ থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে নেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত এসেছে।

মঙ্গলবার  (১ জুন ) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে ১ জুলাই থেকে এবং বিভিন্ন বর্ষের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১৫ জুন থেকে সশরীরে নিতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনেই আবাসিক হল এবং ক্লাস শুরু হবে।’

আখতারুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেটির আওতায় যেসব বর্ষের বা সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সেশনজট হয়েছে বা সেশনজটের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষকরা কোর্সের সময়কাল বিবেচনায় নিয়ে কোর্সের বিষয়গুলো নির্ধারণ করবেন।

এই পরিকল্পনার আওতায় সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য বন্ধের দিনেও ক্লাস নেয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনে মেকআপ ক্লাস বা পর্যালোচনামূলক ক্লাস নেয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগ, ইনস্টিটিউটগুলো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করবে। প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ অন্যান্য বন্ধের দিনেও পরীক্ষা নেয়া হবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক দিনে বিভিন্ন শিফটে পরীক্ষা নেয়া হবে।

কোনো কারণে যদি সশরীরে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্ভব না হয়, ১ জুলাই চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরও শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা ও অভ্যাস ধরে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিডটার্ম/টিউটোরিয়াল/টার্মপেপার/অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির ৫০ শতাংশ পরীক্ষা অনলাইনে নিতে হবে এবং প্রতিটি কোর্সের ক্লাসের ১০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে নিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা যাতে ভর্তি কার্যক্রম এবং পরীক্ষার ফরম পূরণ অনলাইনে সম্পাদন করতে পারেন, সে জন্য ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের একটি অটোমেশন সফটওয়্যার প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।

এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভর্তি কার্যক্রম এবং পরীক্ষার ফরম পূরণ অনলাইনে সম্পাদন করতে পারবেন। শিগগিরই এটি উদ্বোধন করা হবে।