অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ওয়ানডেতে দেশের বাইরেও জয় চান ডোমিঙ্গো

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ৩০ মে ২০২১ রোববার   আপডেট: ০৫:৪২ পিএম, ৩০ মে ২০২১ রোববার

বিদেশে ধারাবাহিক জয় পাওয়াই বাংলাদেশ দলের পরবর্তি ধাপ হবে বলে মনে করেন রাসেল ডোমিঙ্গো। বিদেশের মাটিতে ওয়ানডে খেলার কৌশল বিশেষ করে রান সংগ্রহের ধরনে পরিবর্তন চান তিনি। আর তারজন্য প্রথমে বড় দুয়েকটি গেম জিতে শুরু করতে চান তিনি। 

ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে টাইগারদের কোচ বলেন, ওয়ানডের জন্য বড় চ্যালেঞ্চ হলো বিদেশের মাটিতে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে জয় পাওয়া। দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দুর্দান্ত দল। দেশের বাইরেও যদি এমন কিছু হয় সেটা অনেক বড় বিষয় হবে। যদি বড় দুয়েকটি ম্যাচ জেতা যায় তবে মানসিকভাবে সবাই এগিয়ে যাবে। 

সম্প্রতি শ্রীলংকা বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের পরবর্তী ১১ টি হোম সিরিজের ১০টিই জিতলো বাংলাদেশ। এমনকি এ সময় ঘরের মাঠে সবচেয়ে সফল দলও টাইগাররা। তবে বিদেশের মাটিতে একদমই ভিন্নচিত্র। সেখানে গত সাত সিরিজে ৫টি হেরেছে দল। জয় এসেছে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ও ড্র হয় শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ। 

বিদেশের মাটিতে ধারাবাহিক জয়ের জন্য সব ক্ষেত্রে উন্নতি চান ডোমিঙ্গো। তিনি বলেন, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের কয়েকটি জায়গায় কিছু স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন রান সংগ্রহের দিকে। 

২০১৫ সালে এপ্রিলের পর থেকে ঘরের মাঠে ৩৮ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ যেখানে গড় রান ঠিল ২৩৮। আর জয় পাওয়া ২৯ ম্যাচে রানসংখ্যা ৫.৬৮ রানরেটে ছিল ২৪৮। আর বিদেশের মাটিতে গড় রান ২৪১ হলেও জয় পাওয়া ম্যাচে গড় সংগ্রহ ছিল ৬.১৩ রানরেটে ২৬৯ রান। এ কারণেই ডোমিঙ্গো চাইছেন বিদেশের মাটিতে ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপরীতে নিয়মিত ৩০০ রান আসুক। 

ডোমিঙ্গো বলেন, আমি ঢাকায় কত রান করছি তা নিয়ে চিন্তিত নই। পিচ হিসেবে আপনার রান আসবে।  ঢাকার মাটিতে ৩০০ খুব কমই হয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে ২৩০ বা ২৪০ রান আপনাকে জেতাবে না। তাই আধুনিক ক্রিকেটের সাথে পাল্লা দিতে নিয়মিত ৩০০-৩৫০ রান করে যেতে হবে। 

তারজন্য অবশ্য ব্যাটিং নির্ভরতা বাড়াতে হবে টাইগারদের। বিদেশের মাটিতেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় দলের চার সিনিয়র তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। কিন্তু কেবল সিনিয়রদের উপর নির্ভর করলেই চলবে না। 

লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন নিজেদের স্কিল দেখালেও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি।  তবে এখনও তাদের উপর আস্থা হারাতে চান না ডোমিঙ্গো। বরং আরও কিছুদিন দেখতে চান। কারণ সাকিব, তামিম, মুশফিকরাও বর্তমানে অবস্থানে আসতে সময় নিয়েছেন। 

অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলাররা বেশ উন্নতি করেছেন। মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিনরা সাকিবকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। মেহেদি মিরাজ বর্তমানে ওয়ানডে বোলিং র‌্যাংকিংয়ের দুইয়ে উঠে এসেছেন। 

এ প্রসঙ্গে ডোমিঙ্গো বলেন, আমি মেহেদির উপর খুবই সন্তুষ্ট। সে ধারাবাহিকভাবে ভালো করে যাচ্ছে। তারমুখে সবসময় হাসি থাকে। দলকে ভালো অবস্থানে নিতে তাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে সে তাই পালনের চেষ্টা করে। 

বাংলাদেশের পরবর্তী ওয়ানডে সিরিজ জিম্বাবুয়ের মাটিতে। জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা সিরিজে থাকবে তিনটি ম্যাচ। ম্যাচের ভেন্যু হারারে স্পোর্টস ক্লাবে প্রথমে ব্যাট করা দলের গড় রান সংখ্যা ২০১। যেখানে ভিন্ন ভাবে খাপ খাওয়াতে হবে দলকে। জিম্বাবুয়ের পর আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। যেখানের কন্ডিশন আবার ভিন্ন।