অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ক্যাচ মিসের মহড়ায় বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৮৭

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার  

নিউজল্যান্ড সফরে বারবার প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টেও তাসকিনের বলেই ক্যাচ ছাড়া হয়েছে পাঁচটি। এবার ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন সমস্যা না হলেও শেষ ম্যাচে ক্যাচ পড়েছে তিনটি। 

তিনবারই ভাগ্য দেবতা সহায়তা করেছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশাল পেরেরাকে। ৬৮, ৭৯ ও ৯৯ রানে মোস্তাফিজ, তাসকিন ও মাহমুদুল্লাহর দেয়া উপহারে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। তার ১২০ রানের মারকুটে ইনিংস ও ধনাঞ্জয়ার অর্ধশতকে বাংলাদেশকে ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারীরা। 

শেষ ম্যাচে প্রথমবার টসে জিতে শ্রীলঙ্কা। সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাটিংয়ের। আর পিচে থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে প্রথম থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকে সফরকারীরা। 

শরিফুলের করা প্রথম ওভারেই আসে ৯ রান। পরের ওভারে মিরাজ দুই রান দিলে তৃতীয় ওভার থেকে প্রতি ওভারে আসতে থাকে বাউন্ডারি। দুই বাঁহাতিকে আটকাতে দুই অফস্পিনার এনেও লাভ হয়নি। পাওয়ার প্লেতে আসে ৭৭ রান। 

দ্বাদশ ওভারে এসে দলকে স্বস্তিতে ফেরান তাসকিন। দ্বিতীয় বলটি স্লগ ওভারের মতো বাউন্ডারি হাঁকাতে যান গুনাথিলাকা। কিন্তু বল গিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। সে ওভারের শেষ বলেই গুড লেন্থের বলে পাথুম নিশাঙ্কাকে মুশফিকুর রহমানের ক্যাচ বানান এই পেসার। যা তাসকিনের ৫০তম ওয়ানডে উইকেট। যার জন্য ৩৯ ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাকে। 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে আবারও  এগিয়ে যেতে থাকে শ্রীলংকা। তারজন্য অবশ্য দায়ী বাংলাদেশী ফিল্ডাররা। সাকিবের দুই ওভারে ক্যাচ উঠিয়েও  ‘জীবন’ পান লঙ্কান অধিনায়ক কুশাল পেরেরা। ২৩ ওভারে সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বল হাওয়ায় ভাসান পেরেরা কিন্তু মুঠোবন্দি করতে পারেননি মোস্তাফিজুর। আর ২৫ ওভারে আবারও আসে সুযোগ। এবার সেটি হারান তাসকিন আহমেদ। ফলে ব্যক্তিগত  ৬৮ রানের পর ৭৯  রানে দ্বিতীয় জীবন পান তিনি। 

পরে সে তাসকিনই বাংলাদেশকে উপহার দেন তৃতীয় উইকেট। ২৬ তম ওভারেই মিড অফে দাঁড়ানো তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন কুশাল মেন্ডিস। ২২ রানে থামে লঙ্কান সহ-অধিনায়কের ইনিংস। 

তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়া পেরেরাকে সহজে থামানো যায়নি। ৯৯ রানে আবারও ক্যাচ দেয়ার পর  ৯৮ বলে আদায় করে নিয়েছেন নিজের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি। যাকে দলীয় ২১৬ রানে থামান শরিফুল। এবার আর ভুল করেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শরিফুলের ব্যাক অব দ্য লেন্থ বলটি মিড অফে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন পেরেরা। তবে চমৎকার এক ক্যাচে শেষ হয় তার ১২০ রানের ইনিংস। 

২৩১ রানে রানআউট হয়ে ফিরে যান নিরোশান ডিকভেলা। শেষদিকে ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্গা ও রামেশ মেন্ডিসকে নিয়ে ২৮৬ রানের সংগ্রহ আনেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে। আর হাসারাঙ্কাকে সাজঘরে পাঠিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট আদায় করেন তাসকিন। 

স্কোরকার্ড
শ্রীলঙ্কা ২৮৬-৬। কুশাল পেরেরা ১২০, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫৫*, গুনাথিলাকা ৩৯। তাসকিন ৪৬-৪, শরিফুল ৫৬-১।